পাতা:রশিনারা.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারাগৃহে । జsషి সাজাহান রশিনারার সহিত কথা কহিলেন না কেন ? রশিনারা আরাঞ্জেবের কন্যা ; যে আরাঞ্জেব তাহার পুত্র হইয় তাহাকে কারাবন্দী করিয়াছে, সপুত্র পুত্ৰত্রয়কে বিনষ্ট করিয়াছে । বৃদ্ধ বাদশাহ এক্ষণে সেই নিষ্ঠর পুত্রের অপত্যের জন্য যে দুঃখ প্রকাশ করিবেন, ইহা কি সম্ভব হইতে পারে ? যে নক্ষত্র আকাশচু্যত হইয়াছে, তাহা কি পুনৰ্ব্বার নীলাম্বর-বক্ষে বিরাজ করিবে ? যে স্নেহ একবার হৃদয় হইতে বিচলিত হইয়। গিয়াছে, সে অমুল্য পদার্থ কি আর সেই দগ্ধহৃদয়ে পুনৰ্ব্বার সঞ্চার হইবে ! সাজাহান পূৰ্ব্বরূপ স্নেহ করুন বা না করুন, কিন্তু রশিনার। তাহাকে যথোচিত সেবা-শুশ্রুষা করিতে লাগিলেন । মধ্যে মধ্যে নানারূপ হিতোপদেশ দ্বারা পিতামহের দুঃখ বিদূরিত করিতে যতন করিতে লাগিলেন । এক দিন সাজাহান শয়ন• করিয়া আছেন, রশিনীর। তাহার পদসেবা করিতেছেন ; অনেক ক্ষণ পরে, বৃদ্ধ ঈষৎ নয়নোন্মীলন করিয়া রশিনারাকে দেখিতে লাগিলেন ;—স্বৰ্ণলতিকা তুল্য সুকুমার দেহ যেন প্রবলাতপ বিশোষিত, শিশির-বিশুষক পঙ্কজানন, দীর্ঘায়ত কোমল চক্ষুঃ বিকুঞ্চিত হইয়া অবিরল অশ্রুধারা বিসৰ্জ্জন করিতেছে ! সেই নয়নাসারে তাহার চরণতল সিক্ত হইতেছে। ইহা দেখিতে দেখিতে সাঞ্জাহানের চক্ষুঃ হইতে দরদর করিয়া ধারা বহিতে লাগিল,—স্নেহ-কলিকা পুনরুৎফুল্প হইল । তখন তিনি গুমতি শীঘু গাত্রোথান করিয়া রশিনারীর চক্ষুর জল মুছাইতে । লাগিলেন। তখন, রশিনারার নয়ন-জল দ্বিগুণ বেগে প্রবাহিত হইতে লাগিল । সাঙ্গাহান অনেক ক্ষণ নীরবে রোদন করিয়া 2* ; :