পাতা:রশিনারা.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

L २ * 8 ] নবম পরিচ্ছেদ। আত্মবঞ্চনায় । শিবঞ্জীর পত্র লইয়া দাসী রাজনিকেতনাভ্যন্তরে প্রবেশ করিল । আদ্য বাদশাহের জন্ম দিন, আবারিত দ্বার, যেখানে যাহার ইচ্ছা, সে সেইখানেই গমনাগমন করিতেছে । এই দিনে অন্তঃপূরেও মহা সমারোহ হইয়া থাকে ; স্ত্রীলোক ভিন্ন পুরুষের তথায় গমন বিধি নাই। নানা দিগদেশ হইতে ললনাগণ বিবিধ দ্ৰব্য-সামগ্ৰী বিক্রয়ার্থ তথায় সমাগত হইয়াছে। অন্তঃপুরিকাগণের আনন্দের আর পুরিসীমা নাই, বহুমূল্য পরিচ্ছদ, অলঙ্কারাদিতে বিভূষিত হই ভূমণ করিতেছেন । সুগন্ধ বস্তুর ঘ্রাণে চতুর্দিক মোহিত জরিষ্ঠছে ; আতর, গোলাব, তাঙ্গুল, পূপে, পরিচ্ছদ, হীরকাদি খচিত স্বর্ণালঙ্কার—যাহার যাহাতে অভিলাষ, তিনি তাহাই ক্রয় করিতেছেন । গোলাবী অন্তঃপূরস্থ বাজারের মধ্যে তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিয়াও রশিনারীর সাক্ষাৎ পাইল না । অনন্তর অন্য অার এক প্রকোষ্ঠে গমন করিয়! দেখিল, যে, রশিনারা এক বৃন্ধের সহিত এক অপূৰ্ব্ব অট্টালিকার দ্বারে দণ্ডায়মান রহিয়াছেন । গোলাবী তাহার মুখের ভাবান্তর দেখিয়া কিছু বিস্মিত হইল, সে এরূপ বিমর্ষ ভাব উাহার মুখে কখনই দেখে নাই। গোলাবী কিছু না বলিতেই রশিনীরা অতি মৃদুস্বরে কহিলেন کسیم “ ওগো, তুমি কোথায় যাইতেছ ? ”