রশিনারা । به دنی বিশাল গ্রীব, সুকোমল মুখকান্তি, নাসিক ঈষদোন্নত, দীর্ঘায়ত আরক্ত পদ্মচক্ষুঃ ; মস্তকে উষ্ণীষ, তদুপরি অর্কপ্রভা সদৃশ এক খণ্ড হীরক ডাবলিতেছে । মনোজ্ঞ গৌরাঙ্গ যোদ্ধার পরিচ্ছদে আচ্ছাদিত, কটিতটস্থ কটিবন্ধে বিবিধ কারুকার্য্যবিশিষ্ট স২লিত পিন্ধানাবৃত আসি দুলিতেছে ; হস্তে একটি মন্তবক শোভা পাইতেছে । এই অদৃষ্টপূৰ্ব্ব যুবককে দর্শন করিয়া রশিনার ভীত ও কম্পান্বিত-কলেবর হইলেন । রশিনারার শরীর কপিল কেন ? যুবতী ললনা প্রথম পুরুষ দর্শনে এইরূপই কাপিয়া থাকেন । রশিনারার চক্ষুঃ যত ক্ষণ যুবাপুরুষের প্রতি ছিল, সেপর্য্যন্তু তিনি অধোবদনে কি ভাবিতেছিলেন । যখন তাহার সৃষ্টি তরুণীর প্রতি পড়িল, তখন তিনি সচকিত হইয়া উঠিলেন এবং তরুণীর অসামান্য রূপলাবণ্য দেখিয়া নিসপন্দের ন্যায় রছিলেন। এরূপ রূপবর্তী কামিনী অার কথন দেখিয়াছেন কি না, তাহা তিনি বুঝিয়া উঠিতে পারিলেন না । নিমেষশূন্য লোচনে তিনি তাহার অপূৰ্ব্ব-সৌন্দৰ্য্য-শোভা দেখিতে লাগিলেন । *
- তরুণীর বয়স বিংশতি বৎসর ; কেবলমাত্র যৌবনমন্দিরের প্রথম সোপানে পদার্পণ করিয়াছেন,—নবযৌবন-ভরে সতত ব্রীড়াসঙ্কুচিত । লজ্জাবতী লতিকার ন্যায় মনোজ্ঞ কান্তি সপৰ্শমাত্র বিকুঞ্চিত হইয় পড়ে। নবশরদের মেঘ ঈষৎ বায়ু ওড়িত হইয়া যেমন চঞ্চলগতি ধারণ করে, নবযৌবনভরে এই রূপবর্তী কামিনীও সেইরূপ চঞ্চল হইলেন । তরুণীর श्रृीह মধ্যমাকৃত্তি,-ক্ষীণাঙ্গী ; ক্ষীণকলেবরাই বটে, কিন্তু এ ক্ষীণাঙ্গের
