পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Эo) е দাস্তপ্রেম। [ ৩য় অঃ கற்கது-ம் پےبےپایات --" অতএব সে অবস্থায় মুক্তি হইতে পারে না। যদি বল, বুদ্ধি পুরুষ সংযোগে থাকিবে না, অথচ মুক্তি হইবে,— তাহা অসম্ভব ; কারণ, বুদ্ধি-পুরুষ সংযোগ-বিনাশের নিমিত্তই সমস্ত যত্ন, সমস্ত প্রক্রিয়া,—তাহাই যদি না থাকিল তবে ভক্তিরই বা আবশুকতা কি ? অারও কথা এই যে, বুদ্ধিপুরুষের সংযোগমূলকই এই নিখিল বিষয়ের উপলব্ধি, যদি তাহাই না থাকে, তবে কে ভালবাসিবে ? তখন ত পুরুষ স্বরূপে উপস্থিত হন, সুতরাং তিনি নিক্রিয়, নিরুপাধি, সত্তামাত্রে অবস্থিত। কাজেই যতক্ষণ ভক্তি থাকিবে, ততক্ষণ বুদ্ধি-পুরুষের সংযোগৰূপ-বন্ধন অনিবাৰ্য্য। আর যখন বুদ্ধি পুরুষের সংযোগে থাকিবে না, তখন ভক্তিও হইতে পারে না । কারণ, ভক্তি বা ভালবাসা মনের ক্রিয়া, মনের ধৰ্ম্ম,-কিন্তু তাদৃশ অবস্থায় মন, বুদ্ধি, অহঙ্কাদির স্বরূপতঃ উপলব্ধি থাকে না, সুতরাং ভক্ত কেমন করিয়া হইবে ? শিষ্য। ভক্তিই মুক্তির কারণ, এই প্রচলিত বাক্য তবে কি মিথ্যা ? গুরু। না না, একেবারে যে উহার মূল নাই, তাহ নহে। ভক্তি যদিও সাক্ষাৎক্লপে মুক্তির কারণ নহে, তথাপি তাহাকে যে মুক্তিপ্রদা বলা হইয়াছে, তাহার হেতু এই যে, ভক্তি বিবেক জ্ঞানের সাক্ষাৎক্লপে সাহায্যকারিণী এবং উদ্দীপনী। মুক্তি সাধনের কারণ ভক্তি’ এই কথ বুলিতে বিবেকঞ্জান মুক্তির কারণ, বিবেক জ্ঞানের কারণ