পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম পঃ ] রসতত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ ७७१ বর্তমানে কিছু বলুন। আমার বোধ হইতেছে,—প্রকৃতি আর পুরুষের সন্মিলন সম্বন্ধে রসতত্ত্ব সাধনার অনেক কথা উঠিবে। গুরু। প্রকৃতিতত্ত্ব সম্বন্ধে শাস্ত্রে অনেক কথা আছে। সংক্ষেপত: যাহা বর্ণিত হইয়াছে, তাহাই বলিতেছি— “নিজে অবিশেষ অথচ বিশেষের আশ্রয় যে প্রধান, তাহার নাম প্রকৃতি। ঐ প্রধান_ত্রিগুণ, অতএব তাহ ব্ৰহ্ম নহে, এবং তাহ অব্যক্ত অর্থাৎ অকার্য্য, অতএব মহক্তত্ত্বও নহে,—অপিচ তাহ কাৰ্য্য ও কারণস্বরূপ, অতএব কালাদিও নহে, এবং তাহ নিত্য, অতএব জীবের প্রকৃতিও নহে। উক্ত প্রধানের_কাৰ্য্য স্বরূপ চতুৰ্ব্বিংশতি গণ আছে, তাহা_পাচ, পাচ, চারি এবং_দশ, এই প্রকার সংখ্যার সংকলনে সংখ্যাত হইয়াছে। ভূমি, জল, রসতন্মাত্র, রূপূতন্মাত্র, স্পৰ্শতমাত্র, শস্বতন্মাত্র ; এই পঞ্চ তন্মাত্র ; শ্রোত্র, ত্বৰু, চক্ষুঃ, জিহবা, ভ্রাণ ও বাক্, পাণি, পাদ, পায়ু, উপস্থ ; এই দশ ইক্রিয় ; এবং মন, বুদ্ধি, অহঙ্কার, চিত্ত ; এই চারি অন্তরিক্রিয়। যদিও অন্তঃকরণই অন্তরিক্রিয়, তথাচ তাহার বৃত্তিভেদে উক্ত চারিপ্রকার প্রভেদ হইয়া থাকে। এই _চতুৰ্বিংশতি তত্ত্বই_সগুণ ৰহ্মের সন্নিবেশ স্থান, এতদ্ভিন্ন কাল_পঞ্চবিংশ তত্ত্ব। এই কালের প্রতি মতদ্বয় আছে,—কতকগুলি পণ্ডিতে