পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৬৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ठे श्रृं: ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা। అలీ শিষ্য যুগল-উপসনার ক্রম কি ? আমি তোমাকে প্রথম হইতেই বলিয়াছি, জীবমাত্রেই সুখের অভিলাষী। জাত জীবমাত্রেই কেহই দুঃখভোগ করিতে চাহে না,—সকলেই মুখের জন্ত লালায়িত ;– কিন্তু ইহজগতে সুখ কোথাও নাই, ইহজগতের সমস্ত পদার্থই অনিত্য, অনিত্য পদার্থে নিত্যমুখ কোথায় ? ফুলের ধারে ঝরা, জীবনের ধারে মর, হাসির ধারে কারা, আলোর ধারে অন্ধকার, সংযোগের ধারে বিয়োগ,—এইরূপ সৰ্ব্বত্র ; সুতরাং নিৰ্ম্মল নিরবচ্ছিন্ন সুখ এই অনিত্য জগতে নাই। উপাসনা এই সুখপ্রাপ্তির জন্য । তোমায় যে নিত্য গোলোকধামের কথা বলিয়াছি,—সেই নিত্যধাম হইতে শাস্ত, দাস্ত, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর নিত্যরস ধারা ঝলকে বলকে উৎসারিত হইয়া জগতে আসিতেছে, তাহারই অনুভূতিতে জীব মুখান্বেষী হয়। মধুর গন্ধে অলিকুল যেমন অন্ধাকুল হয়, জীবও তদ্রুপ সেই মুখের গন্ধে আকুল হয়,—অতএব সেই মুখপ্রাপ্তিই জীবের শিক্ষা, দীক্ষা, সাধন, ভজনা বা উপাসনার চরম উদ্দেশু । * I n আবার সেই রসের পুর্ণপ্রাপ্তি মধুর রসে,—মধুর রলে পুর্ণপ্রাপ্তি। মধুরে যুগলের উপাসনা। অতএব পূর্ণানন্দ ৰা পূর্ণমুখপ্রাপ্তির জন্য রাগামুগ হইয়া যুগলের উপাসনা কৱিৰে । শিষ্য। সে উপাসনা কিসে হয় ? নাম ও মন্ত্র । শাস্ত্র বলেন,—