মুখে বুকে দেখি দাগ, শাশুড়ী করুন রাগ, একেতো বিরহে মরি আর এই ভয় লো। কান্দিয়া পোহাই নিশা, আবেশে হারাই দিশা, কেমন কেমন করে অধর হৃদয় লো॥ স্তন নিজ নখাঘাতে, অধর পীড়িয়া দাঁতে, কোনমতে নিবারণ করি এ সময় লো। এইরূপে দিবারাতি, রাখিয়াছি কুল জাতি, চক্ষু খায়্যে তবু লোক কত কথা কয় লো॥
অথ কুলটা।
পতি কোলে থাকি যার অনেকেতে কায। কুলটা তাহারে বলে পণ্ডিত সমাজ।
অরে বিধি নিদারুণ, কি তোর স্মরিব গুণ, কুলটার আশা পূর্ণ করিতে না পারিলি। হস্ত পদ চক্ষু কাণ, দিলি দুই দুই খান, উড়িবারে দুই খানি পাখা দিতে নারিলি॥ চৌদ্দ ভুবনেতে যত, পুরুষ বিবিধ মত, সবার বুঝিত বল তাই বুঝি সারিলি। এ দুঃখ বা কত সব, অন্যের কি কথা কব, চতুর্ম্মুখ রজো গুণ তবু তুই নারিলি॥
অথ মুদিতা।
পর সঙ্গে রতি আশে উল্লাসিতা যেই। বিঘ্ন হীন দেখিয়া মুদিতা হয় সেই॥
প্রবাসে রয়েছে পতি, ননদী প্রসূতবতী, বিধবা শাশুড়ী ওই দৃষ্টিহীন রয় লো। দেবর বিলাস রায়, শ্বশুর ভবনে যায়, মন্দ মন্দ গন্ধবহ বিদরে হৃদয় লো॥ অস্ত গেছে দিনমণি, যতেক রসিক ধনি, ওই শুন বংশীধ্বনি, করয়ে ললিত লো। রোমাঞ্চ