১৬
রসমঞ্জরী।
হতেছে মোর, খসিছে কাঁচলি ডোর, কেন সই ওষ্ঠাধর হতেছে কম্পিত লো॥ পরকীয় সুখ যত, ঘরে ঘরে শুনি কত, অভাগীর ধর্ম্ম ভয় এত কর্যা মরিলো। পর পুরুষের মুখ, দেখিলে যে হয় সুখ, একি জ্বালা সদা জ্বলি হরি হরি হরি লো॥
অথ সামান্য বনিতা।
ধন লোভে ভজে যেই পুরুষ সকলে। সামান্য বনিতা তারে কবি গণে বলে।
স্বকীয়া ধর্ম্মের বশে, পরকীয়া প্রীতি রসে, অমূল্য যৌবন ধন পুরুষেরে দেই লো। আমার যৌবন ধন, ভোগ করে সেই জন মান বুঝি মূল্য করে দিতে পারে যেই লো। যখন যে ধন চাই, সেইক্ষণে যদি পাই, আমার মনের মত বন্ধু হবে সেই লো। ধনিক রসিক জানি, নাগর মিলাবে আনি, আপনার মর্ম্ম কথা কয়্যা দিলাম এই লো॥
অথ সামান্য বনিতার ভেদ।
অন্য ভোগ দুঃখিতা আর বক্রোক্তি গর্ব্বিতা। মানবতী আদি ভেদে সামান্য বনিতা॥
অথ বক্রোক্তি গর্ব্বিতা।
গর্ব্বিতা দ্বি মত হয় রূপে আর প্রেমে। দুইটি একত্র হলে হীরা যেন হেমে॥
অথ রূপ গর্ব্বিতা।
মুখ দেখি যদি আরশী ধরে। বড় বল্যা ছায়া সে লয় হরে॥ মদনে জানিত অধিক করে। দেখিতাম কিন্তু গিয়াছে মরে॥