পাতা:রসমঞ্জরী - ভারতচন্দ্র রায় (১৮৫৩).pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
রসমঞ্জরী।

যৌবনাদি অভিমান জন্য মদ হয়। কেলি তাপ আদি যত কবিগণ কয়॥ কেশ বাস খসে অঙ্গ মোড়া হাই উঠে। লোমাঞ্চ প্রফুল্ল গদ্গদি ঘর্ম্ম ছুটে।

অথ স্বাত্বিকভাব।

 স্তম্ভ হয় ঘর্ম্ম বয় রোমাঞ্চ প্রকাশ। বিবর্ণ কম্পন অশ্রুঃ গদ গদ ত্রাস॥ প্রিয় বিনা সুখ যত দুঃখ সে তো হয়। প্রিয় পাইলে দুঃখে সুখ রাগ তারে কয়।

অথ যৌবনকথন।

 যৌবনের চারি ভেদ শুন বিবরণ। আগে বয়ঃসন্ধি পরে নবীন যৌবন॥ তার পরে বৃদ্ধ ভাব বুঝ বিচক্ষণ॥ যৌবনের সন্ধি কাল দ্বাদশ বৎসর। দশম নিয়ম কন ব্যাস মুনিবর॥

 যৌবন পরম ধন, স্ববশ ইন্দ্রয় গণ, শিশু বৃদ্ধ দেখি লোক রসকথা কহে না। বালকের নাহি শুদ্ধি, বৃদ্ধ হলে হতবুদ্ধি, যুবা বিনা রস আর কোন খানে রহে না। যুবা সূর্য্য বলবান্, যুবা চন্দ্র দ্যুতিমান্, যুবা বিনা সংসারের ভার অন্যে বহেনা। বিনা নর কিবা অন্য, যৌবনে সকল ধন্য, যৌবন হইলে নষ্ট দেখি দেহ রহে না॥

 নারীর যৌবন বড় দুরন্ত। শরীরের মাঝে পোষে বসন্ত॥ বিনোদ বিননে বিনায়্যা বেণী। পুরুষে দংশিতে পোষে সাপিনী॥ কত কত অলি নয়নে ঘোরে। মধুবাক্যে কত কোকিল ঝোরে॥ মলয় বাতাস শ্বাসেতে বহে। সৌরভে সুরভি গৌরব নহে॥ কমল কানন আননে থাকে। বান্ধুলি মধুর অধরে রাখে॥ দুখানি বিষাণ নিশান রাখ্যা। হৃদয়ে মলয় রাখ্যাছে ঢাক্যা॥ লোহিত কমল মৃণাল সাতে। অভ