পাতা:রসমঞ্জরী - ভারতচন্দ্র রায় (১৮৫৩).pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রসমঞ্জরী।
৩৭

রণে ঢাক্যা রাখ্যাছে হাতে॥ ত্রিবলী ডোরেতে বান্ধ্যা অনঙ্গ। কটিতটে থুয়্যা দেখয়ে রঙ্গ॥ সম্বরে অম্বর দিয়া কান্তার। মদন সদন রস ভাণ্ডার॥ কিশলয় করিকরের ভয়। চরণের তলে শরণ লয়॥ যৌবন মরম না জানে যেবা। পণ্ডিত তাহারে বলয়ে কেবা॥ তপ জপ জ্ঞান দান যে কিছু। সকলি যৌবন ধনের পিছু॥ যৌবন এতিন অক্ষর লেখ। যে জান মরম উত্তম দেখ॥ যৌবন মরম যে জানে নাই। প্রথম ছাড়িয়া তাহার ঠাই॥ যদ্যপি যৌবনে উদ্যম করে। প্রথমের মত গলিয়া মরে॥ ভারত চন্দ্রের ভারতি যোগ। যৌবনেতে কর যৌবন ভোগ॥

অথ স্ত্রীজাতিকথন।

অতঃপর চারি জাতি বর্ণিব কামিনী। পদ্মিনী, চিত্রিণী, আর শঙ্খিনী, হস্তিনী॥

পদ্মিনী।

 নয়ন কমল, কুঞ্চিত কুন্তল, ঘন কুচস্থল, মৃদুহাসিনী। ক্ষুদ্র রন্ধ্র নাসা, মৃদু মন্দ ভাষা, নৃত্যগীতে আশা, সত্যবাদিনী॥ দেব দ্বিজে ভক্তি, পতি আনুরক্তি, অল্প রতিশক্তি, নিদ্রা ভোগিনী। মদন আলয়, লোম নাহি হয়, পদ্মগন্ধ কয়, সেই পদ্মিনী॥

চিত্রিণী।

 প্রমাণ শরীর, সর্ব্ব কর্ম্মেস্থির, নাভি সুগভীর, মৃদুহাসিনী সুকঠিন স্তন, চিকুর চিকণ, শয়ন ভোজন, মধ্য চারিণী॥ তিন রেখাযুত, কণ্ঠ বিভূষিত, হাস্য অবিরত, মন্দ গামিনী। মদন আলয়, অল্প লোমহয়, ক্ষারগন্ধ কয়, সেই চিত্রিণী॥