পাতা:রসায়ন সূত্র.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসায়ন-সূত্র। ." আমি—বাতাস—জল—ও ক্ষিতি । ১।—এই চারিট বস্তু সকলেরই সুবিদিত। এখন বিজ্ঞান ইছাদের বিষয়ে কি শিক্ষা দেন দেখা যাইতেছে। এই কয়েকটা বিষয়ের অনুশীলন, প্রকৃতি অনুশীলনের একটা অংশ মাত্র। প্রকৃতি মধ্যেই, অর্থাং আমাদের চতুর্দিকম্ব দৃশ্যমান জগতেই, এইসকল পদার্থ দৃষ্ট হইয়া থাকে এবং সেই খানেই কেবল এই সকল পদার্থকে নানা প্রকার নূতন ২ অবস্থায় সংস্থাপিত ও ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীকৃত করা যায়। এই রূপ পদার্থ সমূহকে নানা প্রকার নূতন ২ অবস্থায় সংস্থাপন করিয়া দেখাকে “পরীক্ষা" কছে এবং আমাদিগের চতুর্দিকে যে সকল পরিবর্তন সংঘটিত হয় সে সকলই কেবল আমরা পর্যবেক্ষণ অথবা পরীক্ষা দ্বারা অবগত হইয়া থাকি । যখন আগুন জ্বলে সে সময়ে কিরূপ পরিবর্তন সংঘটিত হয়, তাছা নির্ণয় করা ও বুঝাইয়া দেওয়া ; ভুবায়ু কিপ্রকারে দানের ও উদ্ভিদগণ-সংবৰ্দ্ধনের সহায় হয় তাছা বর্ণনা করা ; জল কি ২ উপাদানে নিৰ্ম্মিত তাছা স্থির করা ; এবং পৃথিবী খনন করিয়া কত প্রকার ভিন্ন ২ পদার্থ উত্তোলন করা যায় তাহ শিক্ষা করা, এ সকলই রাসায়নিক বিজ্ঞানের বিষয় । এখন এই কয়েকটা কৌতুহলকর বস্তুর বিষয়ে স্থল ২ জ্ঞান লাভের চেষ্টা করা যাউক। কঠিন তরল ও বায়বীয় পদার্থ কাছাকে বলে, তাছা সকলেই অবগত আছেন। যে পৃথিবীর উপরে আমরা দণ্ডায়মান, তাহ “ কঠিন" পদার্থ। যে জল পৃথিবীর উপরিভাগে প্রবাছিত, তাই "তরল" পদার্থ এবং যে ভুবায়ু পৃথিবীকে পরিবেষ্টন করিয়া আছে, তাছা “বায়বীয় " পদার্থ। ক্ষিতি জল ও বাতাসের সামান্য গুণগুলি জুবিদিত, এখন তাহারা কি ২ পদার্থে নিৰ্ম্মিত, এবং সেই ২ পদার্থ কিপ্রকারে ক্ষিতি জল ও বাতাস হইতুে* প্রাপ্ত হওয়া যায়, এই সকল মূতন ২ তত্ত্ব শিক্ষা করিতে হইবে। কিন্তু এ তিনটা বিষয় অমুশীলন করিবার পূৰ্ব্বে, প্রথমতঃ অগ্নির বিষয় আরম্ভ করা যাইতেছে, কারণ সুপিম্বন্ধে আমাদের অম্পই জানা আছে।