পাতা:রসায়ন সূত্র.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ৩০ ] ক্রমাগত “ দ্রব পদার্থ " নীত হওয়ায়, সমুদ্রঞ্জল ক্রমশঃ, যদিচ অপে২, অপেক্ষাকৃত অবিশুদ্ধ হইতেছে। বৃষ্টির জল সমুদ্রে প্রতিনিবর্তনকালে, যে প্রকারের পাহাড় [Rock) ও মার্টির [Soil] মধ্যদিয়া প্রবাহিত হয়, এবং নিকটবর্তী লোকেরা উহার মধ্যে যে রকমের ময়লা নিক্ষেপ করে, তাছার উপরই জলস্থ দ্রব পদার্থের প্রকৃতি ও পরিমাণ নির্ভর করে। কতকগুলি উৎসজল, সমুদ্রজল হইতেও অধিক পরিমাণে লবণাক্ত, কারণ যে বৃষ্টির জল হইতে এই সকল উৎস উৎপন্ন, তাছা প্রথমে পৃথিবীর অভ্যন্তরবর্তী কঠিন লবণস্তরের উপর দিয়া প্রবাহিত হয়। অনেক উৎস ও নদীর জলকে “ভারী " [Hard] কছে। কিন্তু রষ্টির জল সর্বদাই “ লঘু " [Soft]। যে জলে সাবান গুলিলে ভাল ফেনবিশিষ্ট না হইয়া, ঘন ছইয়। যায়, তাহকে ভারী জল কছে। এখন এরূপ হওয়ার কারণ কি, তাছা পরীক্ষা করিয়া দেখা যাইতেছে। ২৭।--জল ভারী [Hard] ছয় কেন ? ২৭ পরীক্ষা —একটা বড় রকম বোতল বৃষ্টিরজলে বা চোয়ানজলে (লঘু জলে) পরিপূর্ণ করিয়া, তন্মধ্যে একটুকু চুণিত জিপসাম, [Gypsum] বা পারসের চুণকাম [Plaster of Paris] নিক্ষেপ করিলে, এবং জল ও উক্ত গুড়াটা কিয়ৎকাল একত্রে বাঁকাইয়া, তৎপবে ছাকিবার কাগচ দিয়া ছাকিয়া লইলে, যে জল প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাছ দেখিতে সম্পূর্ণ পরিষ্কার ছইলেও, ভারী [Hard] ছইয়াছে। কারণ এই জলে সাবান দিয়া ছত্ত প্রক্ষালন করিতে চেষ্টা করিলে, অথবা যেরূপে সাবানবিম্ব প্রস্তুত করা হয়, সেইরূপে গরম জলে সাবান দ্রব করিয়া, তন্মধ্যে ভারীজলের পরিষ্কার দ্রাবণটা [Solution] বিন্দু ২ করিয়া অপপরিমাণে নিক্ষেপ করিলে, দেখা যায়, যে সাবান জলকে ফেনবিশিষ্ট না করিয়া যন করিয়া ফেলে, এবং উচ্চার মধ্যে আর কিয়ৎপরিমাণ সাবান-দ্রাবণ না দিলে, ফেনী উদ্ভূত क्ङ्ग न1 ।। অতএব প্রতীয়মান হইতেছে, যে উৎস ও নদীর জল দ্রবীভূত “ জিপসাম, বা গন্ধকায়িত EsseT [Calcium Sulphate] "tool of Hi stot" [Hard] হইতে পারে। যে জল এই প্রকারে জিন্সমিদার ভারী [Hard] করা হইয়াছে, ফুটাইলেও তালতে কোন পরিবর্তন ঘটবে না; ফুটান-জল শীতল হইলে পুর্বলং ভারীই থাকিঙ্গে ।