পাতা:রসায়ন সূত্র.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৩ ] কিন্তু উৎসজল ফুটাইয়া দিলে দ্রবীভূত বায়ু নিৰ্গত হইয়া যায়, এবং জল শীতল হইলে বিশ্বাদ বোধ হয়। জলের মধ্যে যে অমুজান দ্রব থাকে, তাহা মৎস্যগণের জীবন-ধরণের পক্ষেও নিতান্ত প্রয়োজনীয়, কারণ স্থলচর জন্তুদিগের ন্যায় জলচর জন্তগণের নিশ্বাস-গ্রন্থণ জন্যেও অম্লজানের নিতান্ত প্রয়োজন। তাছার এই প্রয়োজনীয় অমুজান জলস্থ জলজান-সংযুক্ত অমুজান হইতে প্রাপ্ত ছয় না, জলস্থ দ্রবীভূত অমুজান হইতে গ্রহণ করিয়া থাকে। মৎস্যগণ তাছাদের কানুকার মধ্যে দিয়া অনেক পরিমাণে জল নির্গত করে, এবং এইরূপে নিৰ্গত করার সময় জলে যে অমুজান দ্রব থাকে তাছা অপনীত করিয়া লয়। জল ফুটাইয়। তৎপরে বাতাস-বিরতি স্থানে রাখিয়া শীতল করিলে, তন্মধ্যে মাছ বাচিতে পারে না। কারণ উছার মধ্যে অমুজান দ্রব না থাকায়, শ্বাসক্রিয়া বন্দ ছইয়া যায় । ক্ষিতি $ ১২ ৷ ৩২ –ক্ষিতির বিষয় । পূৰ্ব্বে অগ্নি বাতাস ও জলের বিষয় কিয়ৎপরিমাণে জ্ঞানলাভ করিয়াছি ; এখন fক্ষতির বিষয়, অর্থাৎ যে কঠিন পদার্থে আমাদের ভূমণ্ডল নিৰ্ম্মিত তাছার বিষয়, আলোচনা করিয়া দেখা যাউক । প্রথমোক্ত তিনটী বিষয় তত কঠিন নছে । “অগ্নি," পদার্থসমূহের-দাহনকালে, অর্থাৎ রাসায়নিক সংযোগকালে, যে উত্তাপ নিঃসৃত হয়, তাছার নামান্তরমাত্র। “বাতাস," অম্লজান ও যবক্ষারজান নামক ছুইটী বায়ুর (Gas] মিশ্রপদার্থ, যাহা আমাদের চতুর্দিকে অবস্থিতি করে এবং যাছা নিশ্বাস লইবার সময় ব্যবহৃত হয়। “ জল” সেই তরল পদার্থের নাম, যাহার দ্বারা পৃথিবী পরিবেষ্টিত, এবং যাহা অমুজান ও জলজান নামক দুইটা বায়বীয় পদার্থের রাসায়নিক সংযোগে নির্মিত। "ক্ষিতি " অপেক্ষাকৃত জটিল বিষয়। অতএব এই ক্ষুদ্র পুস্তকে ইছার রাসায়নিকতত্ত্ব-সম্বন্ধে অম্প কথাই শিক্ষা ছইতে পারবে। ক্ষিতি উত্তপ্ত নয় বলিয়াই কঠিন। পর্য্যাপ্তরূপে গৱৰ্ম করিলে সকল কঠিন পদার্থই গলাইয়া তরল করা যায়। কঠিন লোকে অগ্নিস্থানে Fেumar বীভূত করা জলের ন্যায় এক পত্রি হইতে পাত্রান্তরে ঢালিতে পারা যায়, এবং কাচও দ্রবীভূত ও ছাচে ঢালিয়। কাচের বাস্তনে পরিণত করা যায় ; এইরূপে পর্য্যাপ্ত-তাপপ্রয়োগে