পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫ్చి অপলাপ করিত। ঐ প্রকার অপলাপের এক প্রাঞ্জল দৃষ্টান্ত বর্ণিত আছে। তাহাতে ৮৪ রতি পরিমিত এক খণ্ড বড় হীরক কোন ক্রমে ইংরাজদিগের হস্তে পতিত হয়। তাহার রপ্তান্তু এই যে হীরক অন্বেষণকারির নিয়মিত বেতন প্রাপ্ত না হইবার আশঙ্কায় ঐ হীরকখণ্ড অপলাপ করিয়া রাথিয়াছিল । অনন্তর তাহার আবিষ্কৰ্ত্ত সস্তুলপুরস্থ প্রধান ইংরাজ কৰ্ম্মচারীর নিকট আনয়নপূর্বক তাহা সমপণ করে। সম্ভলপুরহইতে যে সমস্ত হীরক লব্ধ হইয়া থাকে তাহা উত্তমাধম গুণভেদে চারি বগে বিভক্ত হয় । সৰ্বোৎক্লষ্ট হীরা “ ব্রাহ্মণ ” শব্দে উক্ত হয়। অপরাপর হীরক ঐ প্রকার উহাদের লক্ষণানুসারে “ক্ষত্ৰিয়,” “বৈশ্য,” এবং “শুদ্র” নামে পরিজ্ঞাত হইয়া থাকে। উপরোক্ত অপলুপ্ত হীরকখণ্ড ব্রাহ্মণ শ্ৰেণীস্থ হীরক বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিল। অত্যন্ত দুর্গম স্থানে উক্ত দুঃসাধ্য ব্যাপার সমাধা হয় বলিয়া জহর ও তোরা জাতীয় মলুয্যেরা ষোড়শটা গ্রাম নিষ্করৰাপে পাইয়াছে। তাহারা হীরা অন্বেষণকালে যে সকল স্বর্ণ সমুহ করে তৎ সমস্তই নিজভোগের নিমিন্ত প্রাপ্ত হয় । তাহাতে নৃপতিগণের কোন স্বত্ব থাকে না । কিন্তু তাহারা অত্যন্ত অপব্যয়ী । যেহেতু উপরোক্ত স্বর্ণ ও হীরকাদি রা যে সকল অর্থ প্রাপ্ত হয়, তাহ যাবৎ না ব্যয় হইয়া যায়, তাবৎ কোন কার্য্যে নিযুক্ত হয় مصنيعرض فيه نتيجية ○ i\と না ; নিরবচ্ছিন্ন তালস্য ও লাম্পট্যে কালহরণ করে। প্রাচীন রাজ-নিয়মানুসারে যত হীরা আবিস্কৃত হইত নৃপতিই তত্ত্বাবতের অধিকারী হইতেন । পাছে তাহ কেহ অপহরণ করে এই নিমিত্ত বড়। হীরা যে আবিস্কৃত করিত রাজা তাহাকে প্রচুর । সম্ভলপুরস্থ হীরকের খনি । [রহস্য-সন্দর্ভ। হইত ; অথবা অন্যান্য উৎকট রাজশাসন বিধানানুসারে তাহাকে গ্রামহইতে বহিস্কৃত করিয়া দেওয়া হইত। সে ভবিষ্যতে আর হীরা অনুসন্ধানে নিযুক্ত হইতে পারিত না । পূৰ্বে কথিত হইয়াছে যে সস্থলপুরের হীরকের श्वनि श्रङालु झुरुभि क्रिाज्ञिोश्नभएथा थुिङ श्३बाएङ তাহা সভ্য মনুয্যের অপরিজ্ঞাত ছিল। পরস্তু ঐ অরণ্যাকীর্ণ প্রদেশ রত্বের অাকর, এই হেতু তল্লাভের আশয়ে স্মাশু তাহা পরিজ্ঞাত হওয়া নিতান্ত অসম্ভাবনীয় নহে। তত্ৰত্য ভূপালগণ সৰ্বশ্রেষ্ঠ মহারাষ্ট্রীয় ও যবন প্রভূম্বের উপর হস্তক্ষেপ করিতে নিতান্ত বিরক্তি প্রকাশ করিতেন, এই হেতু র্তাহারা গোণ্ডবান-প্রদেশস্থ যবনাধিপত্যের অন্তর্গত রাজ্যসকলের মধ্যে কদাপি হীরকাদির খনি আবিষ্কৃত-করণে অনুরাগী ছিলেন না, কেবল স্বাধিকারস্থ মহানদীর গর্ভে যে সমস্ত মণি প্রাপ্ত হইতেন তাহা গ্রহণেই °ङ्छेि श्३८छन। সম্ভলপুরে বারিক কত হীরক সদৃহীত হয় তাহার কোন বিবরণ লিথিয়া রাখা হয় না। শুদ্ধ যে হীরা অধিক মূল্যে বিক্রীত হয় তাহারই রন্তান্ত সাধারণের গোচর হইয় থাকে। বর্তমান শতাব্দের প্রারস্তে মস্থলপুরের রাণী রত্নকুমারী একখানি ২৮৮ রতি পরিমাণের ও অপর একখানি ৩০৮ রতি পরিমাণের, এই দুই খণ্ড হীরা প্রাপ্ত হয়ছিলেন। ১৮০৯ খ্ৰীষ্টাব্দের অকৃটোবর মাসে শু৭২ রতি পরিমাণের অার একটা হীরা আবিষ্কৃত হয় । উক্ত রাজ্ঞী তৎকালে স্বামীর মাতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ব্যাপৃত থাকতে তাহ হস্তান্তরে রক্ষিত ' অর্থ পারিতোষিক প্রদান করিতেন, এবং কখন হয়। কিন্তু রদ্ধ মহিষীর আদ্য শ্ৰাদ্ধ পরিসমাপ্ত কখন নিষ্কর গ্রামাদিও প্রদান করিতেন। পরন্তু না হইতেই মহারাষ্ট্ৰীয়েরা উক্ত রাজ্যে প্রবেশ যাহার দোষ সপ্রমাণ হইত তাঙ্কার জীবন দণ্ড করণানন্তর রত্নকুমারী রাণীকে রাজ্যচু্যত করেন।