পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ মলবার রাজা । দেবের মস্তকে ভাগীরথীর সলিল উৎসেচন-পূর্বক । গৃহে প্রত্যাবর্তন করে । নেয়ারদিগের প্রধান বাসস্তান কালিকট্ট রাজ্য । যখন স্পানীয় মনুষ্যেরা ভারতবর্যে প্রথম আগমন করে তৎকালে উক্ত স্থানের ভূপতি ইউরোপীয়লোকদ্বারা " জামরীন ’ নামে খ্যাত হইয়াছিল। পরস্তু ঐ ভূপালের অধীকারস্থিত লোকেরা রাজা শব্দের পরিবর্তে মলবার-দেশ-সাধারণ “ তামুরী’ শব্দ ব্যবহৃত করিয়া থাকে, এবং রাজবগীয় পুৰুষদিগকে “ তাম্বুরাণ ” ও রমণীগণকে “ তাম্বুরেতী গু বলিয়া থাকে। তুলুব মলবার প্রভৃতি দক্ষিণ দেশস্থ মনুষ্যগণ পরলোক গত হইলে কন্যারা ও কন্যার সন্তানেরা ক্রমপরম্পরা দায় প্রাপ্ত হয়, পুপ্র বা পেীএেরা তাহা প্রাপ্ত হয় না। রাজকন্যার সন্তানগণের মধ্যে জ্যেষ্ঠ “ শিখরী রাজা,” দ্বিতীয় “ ইলীয়া,” তৃতীয় “ক ভশারী,” চতুর্থ “ তলন তাম্বোরান,” এবং পঞ্চম “ তরিপুতমুরা” বলিয়া আখ্যাত হয় ; এবণ যাবৎ তাহার রাজ্য প্রাপ্ত না হয় তাবৎ রঙি লাভ করে । নেয়ারদিগের অপরাপর আচারের মধ্যে তাছাদের অঙ্গনাগণের পিত্ৰালয়ে অবস্থিতি এবং ইচ্ছানুসারে অন্যের সহিত প্রণয়-ক্রীড়া, এই বহুকালীক প্রথা অত্যন্ত জঘন্য বলিয়া স্বীকার করিতে হয় । উক্ত জাতীয় স্বামী কন্যার পাণিগ্রহণানন্তর তাহাকে চির কালের জন্য তাছার পিত্ৰালয়ে রাথিয়া গমন করে, এবণ যত কাল উক্ত কন্যা জীবিত থাকে তাবৎ স্বামী তাহার গ্রাসাচ্ছাদন প্রদান করে, কিন্তু পরিণয়ের পর স্বামীর সহিত সহবাস কামনীদিগের পক্ষে অত্যন্ত কলঙ্কের নিমিত্ত হয় ; এই হেতু ঐ রমণীর পিত্রালয়ে বা ভ্রাতৃভবনেই অবস্থিতি করে । নৃপ-কন্যারা বিবাহ করে না, পুএ কামনায় ব্রাহ্মণ এব° ক্ষত্রিয় [র হস্য-সন্দর্ভ। দিগের সেবা করে ; প্রস্তাবিত প্রদেশ মধ্যে এই প্রসিদ্ধ রীতি কোন মতে কুলের গৌরব হানি জনক হয় না ; তথাপি কামিনীর স্বীয় কুলহইতে পুৰুষের কুল উজ্জ্বল যদি না ঘটে তাহা হইলে অত্যন্ত নিন্দা ও অপমানের বিষয় হয়। উক্ত রাজকন্যাদিগের পূর্বোক্ত প্রথানুসারে যে সন্তান উৎপন্ন হয়, তাহারা বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে “ মানবিক্রম সামুদ্রি রাজা ” এই উপাধি প্রাপ্ত হইয়া ভাতৃগণের মধ্যে জ্যেষ্ঠ পরস্পরায় সিংহাসনে আরোহণ করে । প্রসিদ্ধ আছে যে উপরোক্ত ভূপালরদ সাধারণ-লোক-সমক্ষে দেবতা-তুল্য পরম-পূজ্যৰূপে সন্মানিত হইয়া থাকে ; কেবল ব্রাহ্মণের শূদ্র বলিয়াই তাহাদের অশ্রদ্ধা করে। সাধারণ নেয়ার মসুয্যেরা ত্রিশং শ্রেণীতে গণ্য হয় । পূৰ্বেই কথিত হুইয়াছে, তাহাদিগের ব্যবসা এক প্রকার নহে । কুম্ভকার, সূত্রধর, তৈলিক, বর্ণজীবী, রুযক, তন্তুবায় প্রভূতি লোক নেয়ার শ্রেণীর অন্তর্গত। প্রাচীন হিন্দু মহীপালবৃন্দ উল্লিখিত নেয়ার-শ্রেণীস্থ লোক-সকলকে সৈন্য কার্য্যে গ্রহণ করিতেন, এই হেতু অদ্যাপি তাহারা ব্যুহাদি রচনা, তথা মল্লযুদ্ধ-বিষয়ে বিশেষ উৎসুকতা প্রকাশ করিয়া থাকে। প্রসিদ্ধ আছে যে চোরমন পরমাল নামক নৃপতির রাজ্য শাসনের পর অবধি মলবার প্রদেশে ত্রয়োদশটী কন্যা-গোত্রীয় ভূপাল সিংহাসনে অধিৰূঢ় হুইয়াছিলেন ; এব° ঐ দীর্ঘকাল প্রজাবগ ভূপতিগণের বিৰুদ্ধে কদাপি অস্ত্র ধারণ করে নাই। ইহাতে বিলক্ষণ প্রতীত হয় যে উক্ত রাজন্যবর্গ প্রজাপালনে বিশেষ অনুরক্ত ছিলেন। কলিকট্টহইতে বিংশতি ক্রোশ দূরে সিন্ধুতটে পালিয়ানী নামক এক নগর আছে, তথায় দক্ষিণ দেশস্থ মোল্লা নামক যবনদিগের অনেক মোল্লার বসতি আছে । তত্ৰত্য লোকেরা ঐ স্থানকে