পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ૦ ના જી 1 ] মম্বোজস্বেী । & রক্ষতলে পতিত রহিয়াছে । আমি উহা বিশেষ ৰূপে নিরীক্ষণ-জন্য উৎসুক হইয়াছিলাম, কিন্তু আমার সমভিব্যাহারে যিনি ছিলেন, তিনি পুনঃপুনঃ নিষেধ করিতে লাগিলেন ; এবং আমরা গৃহে প্রত্যাগত হইলে তিনি পশ্চাল্লিখিত রত্তান্তটা বর্ণন করিলেন ।” “যৎকালে কেহ মম্বোজম্বোর সভায় যাইতে প্রবৃত্ত হয়, তৎকালে তাহার নিগূঢ়তাৎপৰ্য্য স্ত্রী কিবা পুৰুষ কাহার নিকট প্রকাশ করিব না বলিয়া শপথ গ্রহণ না করিলে উক্ত সমাজভূক্ত লোকেরা তাহাকে আপনাদিগের সমাজে গ্রহণ করে না । নূ্যন-কম্পে ষোড়শ বর্ষীয় যুবা পৰ্য্যন্ত সে সভায় প্রবিষ্ট হইতে পারে, কিন্তু অলপ বয়স্ক বালকদিগকে কদাপি তথায় যাইতে দেওয়া হয় না । কোন স্ত্রী-পুৰুষে কলহ হইলে ঐ প্রকারে মম্বোজম্বোকে আহ্বান করা হয়, এবং সে পুৰুষেরই প্রতি সৰ্বদা অনুকূল হইয়া স্ত্রীর সমুচিত শাসন করিয়া থাকে। মম্বোজস্বোকর্তৃক উপরোক্ত রমণী দাৰুণৰূপে প্ৰহারিত হইবার কারণ এই যে ঐ স্ত্রীর প্রতি কোন ব্যক্তি অত্যন্ত প্রেমাসক্ত হইলেও সে অন্যকে চিত্ত সমপর্ণ করিয়া উপযাচক নায়কের প্রতি অত্যন্ত ঘূণা প্রকাশ করিয়াছিল, এবং ঐ ব্যক্তি আত্মীয়গণের নিকট অত্যন্ত নিন্দিত হওয়াতে মম্বোজম্বোকে আহবান করে, এবং মম্বোজম্বো বর্ণিতৰূপে আবির্ভূত হইয়া উক্ত রমণীকে সমুচিত শাস্তি প্রদান করে ।

  • মম্বোজম্বোর সভাতে কেহই অস্ত্রাদি লইয়া যাইতে পারে না । এই ব্যাপার আফরিকায় প্রায় সৰ্বত্ৰেই অতি সাধারণ ; এবং যদ্যপি সেই গুঢ় ব্যাপার অন্যের নিকট প্রকাশ করে, তাহ হইলে উক্ত সমাজের লোকের তাহার প্রাণস°হার না করিয়া ক্ষান্ত হয় না।”

মম্বোজস্বে সকলেরই ইচ্ছানুগত ; এবং সে যে স্ত্রীকে আহবান করে তাহাকেই তাহার সম্মানার্থে নিদিষ্ট রাত্ৰিতে উক্ত সমারোহে উপস্থিত হইতে হয়। ঐ সমারোহ কদাপি দিবসে সম্পন্ন হয় না, এব° দিবসে মম্বোজম্বোকে কেহ দেখিতে পায় না । কিন্তু তাহার পরিচ্ছদ সন্নিহিত এক অতিপ্রকাণ্ড গ্রাম্য তৰুতলে পড়িয়া থাকে, তাহ কেহ স্পর্শ করিতে পায় না ; এবং অতি যত্নের সহিত তাহ রক্ষিত হয় । তন্নিমিত্ত মম্বোজম্বোকে আরণ্য দেবতা বলা হইয়া থাকে । কথিত আছে যে কএক বৎসর হইল আফরিকার কোন ইলণ্ডীয় শাসনকারী একটা সমাজের কোপে পতিত হইয়াছিলেন। একদা উক্ত শাসনকর্তী সমুদ্রে জাহাজমধ্যে ছিলেন । সেই সময়ে মম্বোজস্বো আসিয়া তাহাকে ও র্তাহার নাবিকগণকে স°হারপূর্বক প্রস্থান করে । “ ঐ ৰূপ আর একটা গল্প প্রসিদ্ধ আছে যে ১৭২৭ ইংরাজী অব্দে জগ্রার ভূপাল সহধৰ্ম্মিণীর নিকট মম্বোজম্বোর গূঢ় কথা প্রকাশ করায় ঐ রাজপত্নী তাহা অন্যের নিকট প্রকাশ করিয়াছিল। তাহাতে ক্রমে সেই ব্যাপার প্রকাশ হইয়া পড়ায় মম্বোজম্বোর উত্তরসাধকের রাজা ও রাজপত্নীর প্রাণ-স-হার-পূর্বক তৎপদে অন্যকে রাজা করিয়াছিল।” কলিকাতায় এই মম্বোজম্বোর আগমন হইলে আমাদিগের অনেক ঠাকুরণ-দিদীর কি গতি হুইবে বলা ভার। পরস্তু তাহাতে কোন ২ দুর্ভাগ্য পুৰুষের উপকারও হইতে পারে, এ কথা বলায় ভুবনমোহিনীরা কি আমাদিগের প্রতি ৰুষ্ট হইবেন ?