পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (তৃতীয় পর্ব্ব).pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఎbr হাইদরাবাদের ইতিহাস । [রহস্য-সন্দর্ভ । খ্যাত ছিলেন । কিংবদন্তী আছে যে একদা সমস্ত করণার্থ বঙ্গদেশের পাশ্বদিয়া অসঙ্খ্য সেনা প্রেভারতবর্ষে অন্ধুৰুপতিবর্গের প্রভাব সম্যক ব্যাপ্ত রণ করিয়াছিলেন। কিন্তু র্তাহার সেনাপতি সঙ্গাহইয়াছিল ; কিন্তু তাহা না হইলেও তাহারামে পরাভূত হইয়া অগত্যা পলায়ন করিতে বাধ্য যে বিশেষ পরাক্রমশালী পৃথ্বীপাল ছিলেন হইয়াছিল । তৎপর ১২৪৫ শকাব্দে আলী থা ইহাতে সন্দেহ নাই ; কেবল ভারতবর্ষে পুরারম্ভের নামা এক যবনভূপতি সৰ্বাদে তৈলঙ্গ রাজ্য জয় অ ভাববশতই তাছাদের কীৰ্ত্তি ঘোষক ইতিহাস গ্রন্থের অভাব হইয়া থাকিবে । আইন আকৃবরী-নামক গ্রন্থে তৈলঙ্গ-রাজ্য বিরার শব্দে উল্লিখিত হইয়াছে । কিন্তু বিরার শব্দ সমস্ত তৈলঙ্গ রাজ্য বোধক নহে। যেহেতু আকবর পাদশাহ সমস্ত তৈলঙ্গ জনপদ জয় কfরতে পারেন নাই, এবং তাহার সভাসদ আবুলফজল তন্নিমিত্তই বোধ হয় প্রাক্লষ্টৰূপে কলিঙ্গ শব্দ ব্যবহার না করিয়া বিরার শব্দই লিথিয়া থাকিবেন। তৈলঙ্গ শব্দ এক স্বতন্ত্রজাতির নাম । তাহt দিগের এক স্বতন্ত্র ভাষা আছে ; তাহা ভা রতবর্ষীয় অপরাপর ভাষার ন্যায় সংস্কৃতের অপভ্রংশ নহে। পূর্বকালে তাহ কলিঙ্গভাষা বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিল । এব• মহারাষ্ট্রীয় জনপদের পূর্বসীমাহইতে কর্ণাটক রাজ্যের সীমা পর্য্যন্ত উক্ত ভাষা প্রচলিত হয়। যবনদিগের এতদেশে আগমনাবধি কথিত রাজ্য * তেলিঙ্গানা ” বলিয়া প্রসিদ্ধ হইয়াছিল ; এবং তদপভ্ৰ-শে “তেলেজ” নাম অধুনা সাধারণে ব্যবহার করিয়া কেন । প্রাচীন ইউরোপীয় লোকেরা তৈলঙ্গীয় অথবা কলিঙ্গ-লোকদিগকে ইংরাজী সৈনিকের বেশ দিয়া আপনাদিগের সৈন্যকৰ্ম্মে প্রথম নিযুক্ত করে, এই প্রযুক্ত দেশীয় সৈন্যদিগকে লোকে তেলেঙ্গ কহিত । ই°রাজের। কথিত দেশের সাধারণ লোকের নাম “জেন্টু” উল্লেখ করিত। কিন্তু উল্লিখিত শব্দের ব্যুৎপত্তি সংস্কৃতমূলক নহে । প্রসিদ্ধ আছে যে ১২৩০ শকাব্দে দিল্লীস্থ সম্রাট আলাউদ্দীন তৈলঙ্গরাজ্যের রাজপাট অধিকৃত } করেন। কিন্তু তিনি উক্ত দেশ দীর্ঘকাল স্ববশে রাখিতে পারেন নাই। যেহেতু ঐ যুদ্ধের কিয়ৎ কাল পরে তত্ৰত হিন্দুমহিপালগণ যবন ভূপতিকে পরাভূত করিয়া তাহাকে রাজ্যহইতে দূরীভূত করেন । র্তাহাদিগের বাহুবলে যবনের তৎকালে পরাভব স্বীকার করত প্রস্থান করিতে বাধ্য হইয়াছিল ৰটে, কিন্তু কিয়ৎ শতাব্দীর পরে তদ্বংশধরগণ জন্মভূমির হিতান্বেষণে এককালে পরায়ুখ হওয়াতে যবনের পুনৰ্বার তৈলঙ্গ-রাজ্য আক্রমণে সচেষ্ট হুইল । সেই চেষ্টায় এতদেশীয় হিন্দু-ধর্মের বিৰুদ্ধমতাবলম্বি-জৈন-সম্প্রদায়স্থ ভূপালবৰ্গ সহায্য করাতে যবনের সমধিক উৎসাহাম্বিত হইয়াছিল । কিংবদন্তী আছে যে ১৪২১ খ্রীষ্টাব্দে তত্ৰত্য মহারাজা কোন গুপ্তশত্রদ্বারা নিহত হইলেন । দক্ষিণদেশের শুলতান মহম্মদশাহ বহমনী ঐ সুযোগে তদেশ আক্রমণার্থ নিজ সেনাপতি আজিম থাকে প্রেরণ করিলেন । আজিম খা উক্ত রাজ্যে সসৈন্যে আগমন করিলে হিন্দুরা যবনদিগকে প্র তিরোধ-করণার্থ বহু চেষ্টা করিয়াছিলেন ; কিন্তু তাহারা নিঃসহায় ছিলেন ; তজ্জন্য কিয়ৎক্ষণ যুদ্ধের পর যবনের] জয়লাভ করিল। এই ৰূপে তৈলঙ্গ রাজ্য স্বাধীনতাসুখে বঞ্চিত হইয়া বিদেশীয় ষবনদিগের অধীনতায় আবন্ধ হইল বটে, কিন্তু উহ!

  • প্রবাদ অাছে যে প্রাচীন সময়ে এক যবন ভূ স্ত্য কোন বাঙ্গণের অনুগ্রহে লব্ধপ্রতিষ্ঠ ছ ওস্ত ক্রমে অশেষ সম্পদের অধিকারী হন । তংপর তাহTহইতে দক্ষিণ দেশের বিশাল বহমনী রাজ্য সংস্থাপিত হইয়াছিল । বহমনী শব্দ উপরোক্র ব্ৰাহ্মণ শব্দহইতে ব্যুৎপন্ন।