পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (তৃতীয় পর্ব্ব).pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ . নুতন গ্রন্থের সমালোচন । [द्र शैना-नग्नड। - SAASAASAASAASAAAS ছয়টমাত্র প্রকরণ প্রাপ্ত হওয়া যায়, সপ্তমটার লা অদ্যাপি কম্পিত হইয়াছে তন্মধ্যে সংস্কৃত বর্ণকুত্ৰাপি নিৰ্দেশ হয় না; অধিকন্তু ঐ সপ্তমটার মালা সর্বশ্রেষ্ঠ ; কি বর্ণের লক্ষণ, কি বর্ণের সমষ্টি, অভাব মুদ্রাকরের কি অন্ধুলি-পঞ্জিকার অপরাধ | কি শ্রেণীবিভাগ, কি নামকরণ, কোন বিষয়েই তাহা নিদিষ্ট করা দুষ্কর । , • ভূমণ্ডলের অপর কোন বর্ণমালা উহার তুল্য হইতে বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের ব্যাকরণের প্রকরণ-ভেদে পরিবে না । বিশিষ্ট কারণ ব্যতীত তাদৃশ উৎআমাদিগের আর একটা আপত্তি আছে । তিনি রুষ্ট পদার্থ ও প্রাচীন হিন্দুদিগের প্রধান গৌরবের যে কারণে সমাসের পর সন্ধি নিবিষ্ট করিয়াছেন | আম্পদকে কলঙ্কার ত করিয়া সংস্করণের অভিমানে তাহা কোন মতে সঙ্গত বোধ হয় না। বালক- শাস্ত্র ও বুদ্ধির বিৰুদ্ধ কপেন সামান্য আক্ষেদিগের পক্ষে সমাস ও সন্ধির মধ্যে কোন বিষয়ট । পের বিষয় নহে। বিদ্যাভূষণ মহাশয় স্বীয় অধিক কঠিন তাহা আমরা বিচার করিতে এস্থলে নূতন কম্পিত বর্ণমালা বঙ্গীয় বর্ণমালা বলিয়া স্পছ রাখি না, পরস্তু সন্ধি না শিখাইয়া বালক- প্রচলিত-করণ-চেষ্টায় সেই আক্ষেপের কারণ দিগকে কি প্রকারে ক্লষ্ণাৰ্জুন, হরীশান, উপেন্দ্র ৷ হইয়াছেন। তিনি ( ) চন্দ্রবিন্দুকে কি বিবেচনায় ইত্যাদি শব্দের. সমাস বোঝান যাইতে পারে অক্ষর বলিলেন ভাহা আমরা কোন মতে অনুভূত তাহা আমাদিগের অনুভব হয় না। অধিকন্তু করিতে পারি না । লিখিত ভাষামাত্রে কতক যাহারা বহুব্রীকির ব্যাপার আয়ত্ত করিতে পারে গুলি চিন্তু ব্যবহৃত হইয়া থাকে, তাহার যোগে তাহারা যে অকারে আকারে আকার হয়, ইহা । দুজ্ঞেয় বোধ করিবে, ইহাও অনায়াসে সম্ভাবনীয় নহে । পরন্তু আপনার ছাগ আপন অভিপ্রায়ানুসারে বলিদানে অন্যের নিষেধের অধিকার নাই, এবং আমরা এ বিষয়ে সেই কটাক্ষের অনুসরণ করিলাম । ব্যাকরণের প্রকরণভেদের অব্যবহিত পরেই বর্ণের নির্ণয় করা হইয়াছে। তন্ত্রাদে বর্ণের লক্ষণ । তদ্বিষয়ে লিখিত হইয়াছে যে “ মনুষ্যের বাগিন্দ্রিয়দ্বারা যে শব্দ উচ্চারিত হয়, তাহার এক একটি অবয়বকে বর্ণ বলা যায়।” এই লক্ষণ পূর্বাচার্য্যদিগের সম্মত নহে, এবং ইহাতে অতিব্যাপ্তি দোষও দৃষ্ট হয়, যেহেতু ধন্যাত্মক শব্দের অবয়বও ইহাতে বর্ণের মধ্যে পরিগণিত হয়, এব• তাহা স্বীকার করিলে গ্রন্থকারের এক পঞ্চাশখটা অক্ষরে সকলের আয়ত্ত হইবে না । * অপর ঐ একপঞ্চাশদ বর্ণ-বিষয়েও আমাদিগের নিশেন আপৰি আছে । ভূমণ্ডলে যে সকল বর্ণমা কোন বর্ণ কি প্রকারে উচ্চারিত হইবে তাহার বোধ হয়। প্রাচীন সংস্কৃতে কোন বর্ণ উদাৰ স্বরে ও কোন বর্ণই বা অনুদাত্ত স্বরে উচ্চারিত হইবে তাহার বিশেষ চিহ্ল ছিল । গ্রীক,লাটিন ও ফরাসী প্রভূতি ভাষায় তদ্রুপ বহুল চিহ্ন আছে, তাহাকে

  • অাকসেণ্ট গু শব্দে কহে । পারসী ভাষায় সেই

ৰূপ চিহ্লের ব্যবহার প্রক্লষ্ট দেখা যায়। চন্দ্রবিষ্ণুও সেই ৰূপ চিন্তু, এবং তাছা যে বর্ণের উপর থাকে তাহা নাসিকার সাহায্যে উচ্চারিত হইবে এই তাহার অভিপ্রায়; তাহা কদাপি স্বতন্ত্রৰূপে ব্যবহৃত হইতে পারে না, সুতরা তাহার বর্ণাভিমান কিছুমাত্র নাই। তাহাকে বর্ণ কহিলে উদাত্ত অনুদাত্তের চিকুকে বর্ণ না বলা পক্ষপাতিতার কৰ্ম্ম হয় । ইংরাজীতে কোন বর্ণের লোপ হইলে তাহার স্থানে এই ৰূপ () একটী চিকু দেওয়া হয়। বাজালী ও সংস্কৃতে তজপ ম এবং ম বর্ণের আপশিক লোগ হইলে তাঙ্কার স্থানে একটী অনুস্বার দেওয়া মায়, সুতরা বাঙ্গালী অনুৰাৱটকে বর্ণ