পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (তৃতীয় পর্ব্ব).pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిరి శీte [] উল্লিখিত কবিতা পাঠ করত শুলতান দয়ার্দ্র হৃদয়ে রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করিয়াছেন, এমত সময়ে তাহার এক বন্ধু বুগদাদহইতে পত্র লেখেন যে “ হতভাগ্য ফদুসকে বুগদাদে সাক্ষাৎ করিয়া অপরিসীম অসন্তুষ্ট হইয়া আপনাকে জানাইতেছি যে ঐ বৃদ্ধ অথচ কবিকুলচূড়ামণি এক্ষণে অতিদুরবস্থাপন্ন হইয়া এই স্থানে অবস্থিতি করিতেছেন, ও আপনার অন্যায়াচরণ-বশতঃ অত্যন্ত পরিতাপিত হইয়া কবিতাদ্বারা অনেক শ্লেষোক্তি করিয়াছেন । মহাশয়, ঐ সদাশয় কবিগুণাকরের গুণ যুগান্তরে বিস্মৃত হইবার নহে। আপনি ক্ষণকাল মধ্যে তাহা বিস্মৃত হইয় তাহার প্রাণ-সংহারের আদেশ করিয়াছেন । ইহা অত্যন্ত আশ্চর্য্যের বিষয় ” ঐ পত্র-পাঠে মহমূদ অত্যন্ত পরিতাপিত ও কুপিত হইয়া মন্ত্রিকে এৰূপ অর্থদণ্ড করিলেন যে তা তাহার ক্ষদুলী উপাধি বিষয়ে অনেক প্রকার হাতে তিনি নিস্ব হইলেন ; এবং ফদুলীকে পুনঃ গজননে আনয়ন-প্রত্যাশায় যষ্টি সহস্ৰ স্বর্ণ মুদ্রা ও প্রচুর অন্যান্য উপহারের সহিত লোক পাঠাইলেন। এদিকে বৃদ্ধ কবি বুগদাদহইতে প্রত্যাগমন করত আপন জন্ম-নগর তুসে আসিয়া জীবনের শেষ কাল তথায় যাপন করিবেন এই মানসে তথায় অবস্থান করেন। পরে এক দিন প্রাতঃসমীরণ সেবনানন্তর গৃহে প্রত্যাগমন করিতেছেন এমত সময়ে এক জন পথিক তাহার শাহুনামার এক কবিতা গান করিয়া কছিল— 曲 • রাজা যদি হইতেন রাজার কুমার, মণিময় তাজ শিরে দিতেন আমার 1* * এই বাক্যে র্তাহার পূর্ব কথাসকল স্মরণ হইয় তিনি মূৰ্ছাপন্ন হইয়া পতিত হইলেন, এবং সেই অবস্থায় তাহার আত্মা দিব্য লোকে গমন করিল।

  • মহ যুদের পিতা রাজা ছিলেন না, ও হাতেই এই তিরস্কার র্তাহার প্রতি বিশেষ উপযুক্ত হইয়াfছল।

কদুর্নী । ・>●● ইহারই এক দিবস পরে মহমুদের দৃত উপহার লইয়া তুসে উপস্থিত হইয়া দেখিল তাহার উপহার লইবার পাত্র লোকান্তরে বিগত হইয়াছে । অতএব মহমূদ ফদুসীকে যে সমস্ত বিভব পুরস্কার প্রদানার্থ প্রেরণ করিয়াছিলেন, বাহকের তাহা র্তাহার দুহিতার সম্মুখে উপস্থিত করিল। ঐ রমণী পিতার ন্যায় তেজঃশালিনী ও অত্যন্ত সাহসিক ছিলেন। তিনি যে পুরস্কারের অর্থ নিমিত্ত তাহার পিতার কাল হুয় তাহা গ্রহণে কোন মতেই সম্মত হইলেন না । অতি ঘূণাপূর্বক তৎসমস্ত স্থানান্তরে লইয়া যাইতে আদেশ করিলেন । পরন্তু মহমূদ ঐ অর্থ পুনগ্ৰহণ করিতে না পারায় তদ্বারা ফৰ্দ্ধসীর চিরঅভিপ্রেত তুস নগরের পুরোবী নদীর উপর সেতু ও বাধ বানাইয়াছিলেন । এই কবিকুল ছড়ামণি ৪১১ হিজরীতে অর্থাৎ ১৯২০ খ্ৰীষ্টাব্দে তুস নগরে পরলোক গত হন। প্রবাদ আছে। প্রসিদ্ধ আছে যে তুস নগরের শাসনকর্তার “ ফৰ্দ্দস ” (স্বর্গ) নামে এক উদ্যান ছিল, ফদুলী তন্মধ্যে কাব্য রচনা করিতেন এই হেতু তিনি ফৰ্দ্দসী নামে বিখ্যাত হন । অন্যে অনুমান করেন যে শুলতান মহমৃদ তাহার প্রতি পরিতুষ্ট হুইয়া কহিয়াfছলেন যে “ তুমি আমার সভায় অবস্থিতি করিয়া উহাকে ফর্মুলী (স্বর্গ) তুল্য গরিষ্ঠ করিয়াছ, डाशय्ठ३ उँीशङ्ग नाम कार्टूनो इञ्च । कज्ञउ* ফদুসার নামের বিষয়ে এই ৰূপ বহু বিবাদ নানা গ্রন্থে দৃষ্ট হয় । বহারিস্তান নামক গ্রন্থকর্তা মহমুদের কীৰ্ত্তি বিষয়ে লিখিয়াছেন যে “ তাহার অতুল বিভবশালি রাজপাট অধঃশায়ী হইয়াছে। তাহার যশঃ থ্যাতি সকলই নষ্ট হইয়াছে, কিন্তু তিনি কদুসীর প্রতি যে অন্যায় ঔদ্ধত্য প্রকাশ করিয়াছিলেন তাহাই চিরজীবিত রহিয়াছে।”