পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (তৃতীয় পর্ব্ব).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Xe সৌন্দর্য্য কাৰাকে বলে ? [রহস্য-সন্দত । তিতে সন্তবে মা; অথচ আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে कि कि जचा १ थांकिएज जी जून्झङ्गी झञ्च ७कथा জিজ্ঞাসা করিলে, কোন দুই ব্যক্তি এক উত্তর नःि:वन्न न1 ॥ মূখারুতি সৌন্দর্য্যের এক প্রধান অঙ্গ, অথচ প্রাচীন গ্রীস্দেশীয়েরা ও নব্য ইরাজের তথা হিন্দুরা অগুরুতি মুখই সৰ্বোত্তম বলিয়া থাকেন ; কিন্তু চীনদেশীয়েরা তাদৃশ মুখবিশিষ্টাকে “ঘোড়ামুখী গু বলিয়া গোলাকার “শরামুখীর ” অনুরাগে গদগদ-চিত্ত হয়েন, এবং এস্কুইমঃ জাতীয়ের তদুভয়ের পরিহরণ করিয়া বস্তুলাকার “ মালসামুখীর * অনুসরণ করিয়া থাকেন। পরন্তু মুখাবয়ববিষয়েই যে মনুষ্য-মনে ভেদজ্ঞান আছে এমত নহে। ইউরোপীয়দিগের মধ্যে বিশ্বাস আছেযে গ্রীস্দেশীয় হোমর নামক কবি কবিকুলের শ্রেষ্ট; তিনি তদেশীয়-মত-প্রসিদ্ধ দেবরাজ যুপিতরের মহিলা জুনোর ৰপবর্ণন সময়ে তাহাকে “রষাক্ষা” বলিয়া প্রশংসা করিয়াছেন। তদৃষ্টান্তে ইংরাজী-অনুকরণ-তৎপর কোন নব্য যুবক কোন স্বদেশীয় ভুবনমোহিনীকে “ হে গোচুকী” বলিলে কিৰূপ রসাভাস হয় তাহা পাঠকরন্দের মনে অনায়াসেই অনুভূত হইবে । পরন্তু চীনদেশীয়ের কোমর অপেক্ষাও অধিক রসিক ; তাহারা বরাঙ্গনাননে শূকর-চক্ষুর সদৃশ ক্ষুদ্র চক্ষু থাকিলে কমনীয় বোধ করে, সুতরা তাহদের দেশে, “ হে শূকরাক্ষি’ বলিয়া প্রণয়িনীর অনুসরণ করিলে তাঙ্কার অনুরাগের বৃদ্ধি হইয়া থাকে। মনে কৰুন ঠাকুরদাদা সম্পৰ্কীয় কেহ তদনুকরণে ঠাকুরণ দিদীর সমাদর করিলে গৃহসন্মাজ্জনীর কি পৰ্য্যন্ত দুৰ্দ্দশ৷ না সম্ভব হইতে পারে। এক জন চীন কবি আপন প্রিয়-সখীর প্রশ°সায় লিথিয়াছেন— •• আহা মরি প্রিয়মূখ মালসা সমান, তাহে চক্ষু আছে কি না, না হয় প্রমাণ।” আমরা প্রার্থনা করি যে আমাদিগের পাঠকবৃন্দ কেহ ভ্ৰমেও এই চৈনিক কবির অনুকরণ না করেন ; তাহা করিলে বঙ্গীয়া মৃগাক্ষীর নয়নযুগলে মৃগাক্ষের লাবণ্যের পরিবর্তে অগ্নিস্ফলিঙ্গের আধিক্য হইবে, সন্দেহ নাই। পারস্য কবিরা “ কোমল অলসায়ত” লোচনের প্রশংসা করিয়া থাকেন ; কিন্তু স্কটলণ্ড দেশে তাহা অগ্রাহ হইয়া “হাসন্ত চক্ষুর” বিশেষ সমাদর হইয়া থাকে ৷ এই সকল নানা প্রকার চক্ষুর মধ্যে কি যে প্রকৃত সুন্দর.তাহ পাঠকদিগের অভিৰুচ্যনুসারে নির্ণীত হইবে, আমরা তাহার মীমাংসা করিলে কোন না কোন পাঠক বা পাঠিকার নিকট তিরস্কত হুইবার আশঙ্কা আছে। মুখের গঠনে নয়নের পর নাসিক সৌন্দর্য্যের এক প্রধান অঙ্গ ; তাহার অবয়ব-ভেদে মুখ গ্রীর বিশেষ পরিবর্তন হয়। তাহার অভাবে তিলোত্তমার মুখও ঘূণাজনক হইয়া উঠে । পরস্তু কি প্রকার নাসিক সৰ্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ তাহা অদ্যাপি নিৰূপিত হয় নাই । ভারতবর্ষে “তিল ফুল জিনি নাসা” ভারতচন্দ্রের বিশেষ প্রিয়। অন্য কবি শুক চঞ্চুর আরুতি তদপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কহেন ; ফলে উভয়েই ঈষৎ বর্ভূল নাসিকার অনুরাগী। ফরাসী-দেশেও সেই ৰূপ বর্ভুল নাসিকার প্রশংসা আছে। কিন্তু অধুনা এতদ্দেশে “টাকল” সরল রেখার অবক্র তিলক হয়, এমত নাসিকাই সকলের প্রিয়; প্রাচীন গ্রীস্দেশে এব• নব্য ই•লণ্ডেও তাহা প্রশংসনীয়। তদ্রুপ নাসার প্রত্যাশায় ধাত্রীরা নব্য প্রসূত শিশুর নাসা প্রত্যহ টিপিয়া সেক দিয়া থাকে, এবং তাহাতে কথঞ্চিৎ নাসার উচ্চতা সিদ্ধ হয়, সন্দেহ নাই। পরন্তু ঐ ধাত্ৰী আফ্ৰিকা দেশে গমন করিলে তাহার সে আয়াস তাঙ্কার অন্নাভাবের কারণ হুইত, যেহেতু তথায় উচ্চ নাসিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়, এবং যাহাতে ঐ কুৎসিতের লক্ষণ না উপলব্ধ হয় এই নিমিত্ত তত্ৰত্য ধাত্রীর শিশুর মাস প্রত্যক