পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (তৃতীয় পর্ব্ব).pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭હ આહ ] অত্যন্ত ব্যগ্র হইয়াছিলেন । কিন্তু প্রচুর অর্থ ব্যতীত তৎকালে এতদ্দেশে আগমন সঙ্কজে ঘটিত না। সেই জন্য হাফেজ তদ্বিষয়ে কতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই । ঐ বিষয় শুলতানের প্রধান অমাত্য শ্রবণ করিয়া স্বয় তদ্ব্যয়োপযোগী অর্থ সিরাজে পাঠাইয়া দেন। তদানুকূল্যে হাফেজ স্বদেশ পরিত্যাগ-পূর্বক ভারতবর্ষে যাত্রা করেন। পরস্তু ষৎকালে হাফেজ কাবুলদেশ অতিক্রম করিয়া সিন্ধুনদের পারাবরোহণপূর্বক লাহোরের নিকট উপস্থিত হন, ঐ সময়ে অতিমলিনবেশ পথক্লান্ত এক পরিচিত ব্যক্তির সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হয়। ঐ ভদ্র ব্যক্তি স্বদেশে প্রত্যাগমন কালে দসু্যদিগের হস্তে পতিত হইয়াছিলেন ; তাহাতে র্তাহার প্রাণ মাত্র বিয়োগ হয় নাই ; দসু্যরা তাহার সঙ্গে যে কিছু অর্থসম্পত্তি ছিল, তৎসমুদায় অপহরণপূর্বক তাকাকে অতিশয় দুঃখের অবস্থায় নিক্ষেপ করিয়া পলায়ন করিয়াছিল । দয়াৰ্দ্ৰচিত্তে প্রণোদিত হইয়া হাফেজের সঙ্গে যে কিছু অর্থ ছিল, তৎ তাবৎ হাফেজ । ,》°金 হইয়াছিল ; কিন্তু আমার কি ভ্রান্তি ! ইহার একটি তরঙ্গের যাতন শত মণ কাঞ্চনেও মোচন করিতে পারে না ।” - হাফেজ স্বভাবতঃ এই ৰূপ ভীত ও নম্রণীল ও ধৈর্য্যশালী হইলেও তাছার সাহসিকতা ও উপস্থিত-বক্তৃত তথা শ্লেষ-পূর্ণ বচন ব্যবহারের ক্ষমতা কোন মতে খর্ব ছিল না । তিনি একদা এক সঙ্গীতে লিথিয়াছিলেন,— s “ যদি সে কঠিনপ্রাণ শিরাজী যুবতী । আমার মানস হস্তে করে শুভাগতি । যে আছে কপোলে তার তিল তারি লাগি । দিতে পারি সমরকন্দ বোখারা তিয়াগি ।” অতুল থ্যাতিবিশিষ্ট দুর্দান্ত তৈমুরলঙ্গ পারশ্যদেশ জয় করিয়া হাফেজকে রাজসভায় আনয়নের আদেশ করেন। দূতেরা অবিলম্বে উহাকে সভামধ্যে উপস্থিত করিলে তৈমুর তাহার পূৰ্বোক্ত গীতের প্রতি কটাক্ষ করিয়া বলিলেন, “ আমি সমস্ত ভূমণ্ডল ৰুধিরে প্লাবিত করিয়া শত শত সাম্রাজ্য জয় ও বিনষ্ট করণানন্তর সমরকন্দ এব• i ঐ বিপদাপন্ন ব্যক্তিকে প্রদানপূর্বক তিনি স্বয় ; বুখারা রাজধানীকে ঐসম্পন্ন ও ঐশ্বর্য্যশালী করিসেই দুর্বিপাকের ভাগী হইলেন, এবং তৎপর পথি য়াছি ; আর তুমি একটা স্ত্রীর আঁচিলের জন্য ঐ মুধ্যে কোন পরিচিত বণিকের সহিত সাক্ষাৎ সমস্ত সমরকন্দ ও বোখার নগর বিতরণ কর " হাফেজ অক্ষুব্ধ ও অবিচলিত চিত্তে অবিলম্বে ইণ্ডয়াতে ভারতবর্ষে আগমনের সঙ্কল্প পরিত্যাগপূর্বক ভবনে প্রত্যাগমন করিয়াছিলেন । পরে সমুদ্রপথে ভারতবর্ষে আগমনের উদ্যোগ । করেন; কিন্তু পোতারোহণের পরক্ষণেই এক ঝটিকায় পোত কম্পিত হওয়াতে তিনি পোতহইতে পলায়ন করিয়া বিদেশ-গমন-সঙ্কল্প একেবারে পরিত্যাগ করেন। পরন্তু ঐ সময়ে হা८कछ यश्श्रञो नज़्याद्वप्नेङ्ग यमोङT८क कविङ-2tৰঙ্কে এক পত্র লেখন ; তৎপদ্যাবলীর কিয়দংশের আভাস যথা—

    • कादशे शूङगरजाएङ ८ङांब्रथि बङिडूश्झांन

তৎপ্রত্যুত্তরে কছিলেন “ রাজন, ঐ ৰূপ দাতব্যেই আমি বর্তমান দৈন্য প্রাপ্ত হইয়াছি।” ইহা শ্রবণে তৈমুর ঈষদ হাস্য করিয়া হাকেজকে র্তাহার পরিতোষের চিহ্নস্বৰূপ উপযুক্ত পুরস্কার প্রদান করিলেন । হাফেজ, সেখ আৰু ইশাকৃ নাম কোন সন্ত্রাস্ত ব্যক্তির বিশেষ প্রশংসা করিতেন । ঐ ব্যক্তি মুহম্মদ মুজফফর নাম কোন ভূপালকর্তৃক নিহত হন। উক্ত নৃশংস নৃপতির পুএ শাহ সুজা কাব্যরচনায় সুনিপুণ ছিলেন। কিন্তু হাফেজ