পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (তৃতীয় পর্ব্ব).pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९e ४७ I] X > সৌন্দৰ্য্য কাহাকে বলে ? মদিত করিয়া তাহার খৰ্বতা সিদ্ধ করে । বস্তুতঃ সে দেশে মস্তকের কেশ জপৰ্য্যন্ত আসিলেই র্তাহtআয়াস এপর্য্যন্ত কলবান হইয়াছে যে অধুনা দের মূর্তির মোহনীয় শক্তির পরিবৃদ্ধি হয়। এতঅনেক হটেন্টক ভুবনমোহিনীর নাসিকা আছে ; দেশে সমস্ত ললাটে কেশ দেখিলে বরাঙ্গনার কি না তাঙ্কা সামান্য নয়নে লক্ষ্য হয় না। নু্য-জীলগু দ্বীপের ললনারাও এই ৰূপে থৰ্ব নাসার অনুরাগিণী, এব• তাহাদেরও নাসা আছে কি না ইহা বিদেশীয়দিগের মনে কথন কখন সন্দেহ হইয়া থাকে। পারস্য দেশবাসীদিগের শুকপক্ষির চঞ্চর ন্যায় • আঁকড়সী নাকে ” বিশেষ দাক্ষিণ্য আছে । নাসিকার পরই অধরপল্লব ; তাহার আরক্ত আভায় অভিভূত না হয়েন এমত বঙ্গ-সন্তান প্রাপ্ত । হওয়া দুর্লভ। পক্ক বিম্ব, দাড়িম্ববীজ, পদ্মরাগমণি প্রভৃতি সুদৃশ্য আরক্তবর্ণ সকল পদার্থই তাহার। প্রশংসায় বিনিযুক্ত হইয়াছে। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় এই যে সেই পক্কবিম্বোধী আরব্য-দেশে । নীত হইলে “রক্তমুখী” বলিয়া তিরস্কৃত হয়, কারণ তত্ৰত্য ললনারা অহৰ্নিশ প্রয়াস পাইয়া | আপন আপন অধরপল্লব নীলবর্ণেরঞ্জিত করিয়া | থাকেন ; তাহাদের মনে এতদ্ভিন্ন শোভা হয় না । । ললাটের গঠন কিৰূপ হইলে সৌন্দর্য্যের রদ্ধি হয় তাহারও নিৰূপণ হইয়া উঠে নাই । বর্ভূল, চেপটা, ক্ষুদ্র, বৃহৎ, উচ্চ, নীচ, প্রশস্ত, খৰ্ব-সকল প্রকার ললাটেরই প্রশংসা কুত্ৰাপি না কুত্ৰাপি দৃষ্ট । হইয়াছে । গ্রীস্দেশীয়ের উচ্চ প্রশস্ত কপাল স্ত্রী : জাতির সৌন্দর্য্যের হানিকর জ্ঞান করিত, এবণ তদ্বিপরীতে গত শতাব্দীর ফরাসী ললনার মস্তকের পুরোভাগের কেশ উৎপাটিত করিয়া প্রশস্ত । বানরীর প্রতিমূৰ্ত্তি অনুভব করেন ; পরন্তু তাহারা আরত ললাটের অনুরাগিণী না হইলেও উচ্চ বর্ভূল কপাল কোন মতে সমাদরণীয় জ্ঞান করেন না ;– তাহার অপক্লষ্টতা বিজ্ঞাপনার্থে “ উচ কপালী চেরণদীতী বিয়ের রাতে থাবে পতি ” ইত্যাদি বাক্য সর্বত্র প্রসিদ্ধ রাথিয়াছেন। পরন্তু উচ কপাল হইলেই যে বিবাহের রাত্রিতেই বৈধব্য ধারণ করিতে হয় এমত কোন প্রত্যক্ষ প্রমাণ নাই ; প্রতু্যত ঔসাগী নামা এক জাতীয় মার্কিন মনুষ্যমধ্যে উচ্চ ললাট বিখ্যাত আছে, ও তাহার বিশেষ সমুচ্চতা সাধনার্থে তাহারা শিশুদিগের মস্তকের পশ্চাদ্ভাগ প্রত্যহ টিপিয়া পুরোভাগের সমুন্নতি সম্যগন্ধপে সিদ্ধ করিয়া থাকে ; কিন্তু তাহাতে তাহাদের বিলাসবর্তীদিগের যে অধিক বৈধব্য ঘটিয়া থাকে এমত কোন প্রমাণ নাই । এই জাতীয় মনুষ্যদিগের প্রতিবাসী অপর এক জাতীয় মনুষ্য আছে, তাহারা পূৰ্বোক্তদিগের প্রতিদ্বন্দ্ব সাধনার্থেই হউক বা সৌন্দর্য্যের বোধ প্রভেদবশতই হউক, শিশু জন্মাইবামাত্র তাহার কপালে একখানা কাঠফলক বান্ধিয়া দেয়, এবণ প্রত্যহ তাহার বন্ধনীর কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ দৃঢ়তা করিয়া অবশেষে শিশুদিগের কপাল এতাদৃশ চেপটা করিয়া ফেলে যে নাসাগ্রহইতে মৃদ্ধ অবধি সর্বত্র এক সরল রেখায় আৱত হয়; এই প্রযুক্ত কথিত জাতীয়ের “উত্তান ললাট ” ললাট সিদ্ধ করত আপন আপন সৌন্দর্য্যের | নামে বিখ্যাত হইয়াছে । পরন্তু এতদুভয় জাতীয় অভিমান সস্তৃপ্ত করিতেন। পরস্তু এবিষয়ে মেকৃ- মনুষ্যেরাই যে ললাট বিষয়ে স্বাতন্ত্র্যের চরম দৃষ্টান্ত সিকে দেশীয় রমণীদিগের আচরণ বিশেষ রহস্য- প্রদর্শন করে এমত নহে। এক জাতীয় আফুিক ব্যঞ্জক। তাহারা আজন্মকাল নানাবিধ তৈল ও স্ত্রী আছে তাহারা শিশুর মস্তকের চতুষ্পাশে চারি প্রলেপের অনুসরণদ্বারা সমস্ত কপালে কেশজন্মা- থানি তক্তা ও উপরে আর এক খানি তক্তা বাইবার চেষ্টায় বিব্রত আছেন, কারণ র্তাজাদের | স্কিয়া মস্তক ও ললাটের চতুষ্কোণত্ব সিদ্ধ করে ;