পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (তৃতীয় পর্ব্ব).pdf/২২

१e *ख i] नर्थ*ज्ञ डॉ७tझ । ( छमा आएमक गोश्रुश्रीज अश्छन बेकमज्र7ावजवन পুরঃসর সঞ্চয় ভাণ্ডার স্থাপন করিয়াছেন । ঐ সঞ্চয় ভাণ্ডারের উপাদেয়তা জানিলে অনেকে সুখী হইতে পারিবেন । যে সকল ব্যক্তি মাসিক ব্যয়াবশিষ্ট এক টাকা অলপ বলিয়া অন্যের নিকট রাথিতে লজ্জিত হইতেন এক্ষণে র্তাহাদিগকেও মাসিক ও চারি আনা সঞ্চয় করিলাম বলিয়া অক্ষুব্ধ দেখা যায় । দশ টাকা সমপণ করিতে পারিলে আপনাকে সুখী করিতে পারিব মনে করেন । এৰূপে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ ঐ ভাণ্ডারে সমপিত ' ঘটিলে একেবারে নিরবলম্ব নিঃস্ব হইয়া পড়েন । হইলে দেখা যায় যে পূর্বাপেক্ষ কিঞ্চিৎ সঙ্গতি হইয়াছে । অধিকন্তু ঐ ভাণ্ডারহইতে যৎকিঞ্চিৎ স্থাপন করিতে উপদেশ দিতেছি বলিয়া যে ভূষণ ধারণ এক কালে প্রতিসিদ্ধ বলিয়া প্রতিপন্ন করিলাম ইহা যেন কেহ মনে না করেন । ভূষণ ধারণ করিলে যাহাদিগের স্বাভাবিক সৌন্ধৰ্য্য নাই তাহাদিগকেও সুগ্ৰ দেখায় । স্বভাবতঃ সুন্দর ব্যক্তির পক্ষে অলঙ্কার ধারণ মণি-কাঞ্চন-যোগজশোভা সম্পাদন করে । দেশীয় যোষাগণের পক্ষে অলঙ্কার বিশেষ ফলোপধায়ক । এদেশীয় রামাগণ ভূষণাতিরিক্ত স্ত্রীধন প্রায় সচরাচর ভোগ করিতে পান না । বিশেষতঃ স্বামির মৃতু্য এই সকল বিবেচনা করিলে উহাদিগকে কিঞ্চিৎ পরিমাণে কুসীদ প্রাপ্তও হয় । এইট যে কেবল কিঞ্চিৎ অলঙ্কার দেওয়া অবিবেচনার কার্য্য বইহার প্রকৃত উপাদেয়ত ইহা নহে । এই সঞ্চয় লিয়া প্রতীতি জন্মে না ; বরং সুযুক্তি বলিয়াই ভাণ্ডারস্থ অর্থ ইচ্ছা করিলেই আনয়ন করা যাইতে বোধ হয় । এদেশীয় কামিনীগণ পতির পরপারে। ইহার উদ্দেশ্যও এই । যথাকালে যৎকি- লোক প্রাপ্তি হইলে আর অলঙ্কার ধারণ করিতে ঞ্চিৎ পরিমাণে স্থাপন করিয়া আবশ্যক সময়ে | नक्रम হয়েন না । এৰূপ স্থলে তাহাকে ঐ আভ- . উপযুক্ত অর্থ সমষ্টি গ্রহণ সিদ্ধ হইয়া থাকে। রণ গুলি বিক্রয় করিয়া অর্থ সঙ্গহ পূর্বক কোন টাকা থাকিলে নিতান্ত প্রয়োজন উপস্থিত না হইলে সামগ্রী বন্ধক রাখিয়া কুশীদ গ্রহণ পূর্বক বাণিজ্য সঞ্চিত অৰ্থ ব্যয় করিতে লোকের প্রবৃত্তি জন্মে না। কাৰ্য্য করিতে প্রণোদিত হইতে হয় । এই প্রণালী কিন্তু আত্মহন্ত সাধন থাকিলে সুনিবাৰ্য্য কাৰ্য্যেও बदभ প্রায় সর্বত্র কুশীদ ব্যবহার হইয়া থাকে । আমোদ উপলক্ষে ব্যয় না করিয়া থাকিতে পারা যায় না । এই ৰূপে লোকে বিপদে পতিত হয় । কিন্তু পূৰ্বোক্ত ৰূপে ঐ ভাণ্ডারে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ নিক্ষেপ করিতে পারিলে উহা ক্রমে অঞ্জুরিত হইতে থাকে । কালক্রমে উহারই ফলদ্বার! অমেক সুখ উৎপন্ন হয় । এই ৰূপ বিশ্বাস জন্মিলে লোকে যথাসাধ্য চেষ্টা করে । তাহা হইলে ক্রমে এই পদ্ধতি নিন্দনীয় নহে । কিন্তু ইহা শঙ্কা পরিশূন্যও নহে, তাহা অম্লান বদনে বলা যায়। পরের দ্রব্য দসু্য তস্করাদির হস্তত্বইতে রক্ষা জন্য সর্বদা সতর্ক থাকিতে হয় । অধমর্ণের প্রতি উত্তমর্ণের বিশ্বাস জন্মিলে বস্তু প্রতিভূ রাথিতে হয় না । সঞ্চয় ভাণ্ডারস্থ স্থাপয়িতাদিগকে সাধু অধমৰ্ণ বলিয়া লোকের বিলক্ষণ বিবেচনা লোকের মিতব্যয়িতা অভ্যাস হইয়া আইসে । জন্মিলে অবশ্যই ঐ খানে লোকের অর্থ রাখিতে সংসারের মিতব্যয়ী লোকই সুখী, ইহা সকলেই প্রবৃত্তি জন্মিবে । বিশ্বাসই ভূলোকে লোকের প্রতি স্বীকার করিয়া থাকেন। এই ৰূপ হইলেই সুখী হইতে পারিবেন। আমরা সঞ্চয় ভাণ্ডারে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ অর্থ প্রণয় সম্পাদক হইয়া থাকে । পরস্পর বিশ্বাস ৰূপ প্রণয় সূত্রে আবদ্ধ হইয়া লোক কত গুৰুতর কাৰ্য্য সিদ্ধ করিতেছেন । এমন অনেক মহাজন