পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (তৃতীয় পর্ব্ব).pdf/৪৮

११ शंख l] সঞ্চয়-ভাণ্ডার । 8} তোমার হস্তে আমার আত্মা সমপর্ণ করিলাম। তাহার মৃত দেহ উত্তমৰূপে রক্ষা করিয়া মহাসমারোহে একসলাচাপেলে প্রোথিত করা হইয়া ছিল, আর স্মৃতিস্তম্ভের উপরিভাগে এই কথা লেখা হইল “যে সম্রাট সারলম বাহুবলে কুম্সি রাজ্য বিস্তৃত করিয়াছিলেন, র্যাহার রাজত্বে প্রজাবৰ্গ পরম সুখী ছিল, তাহার মৃত দেহ এই স্তম্ভের অধোভাগে রহিল। ৮১৪ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৮ শে জানুয়ারি দিবসে র্তাহার পরলোক হয় । সঞ্চয়-ভাণ্ডার। ē তৎপূর্বের প্রথম খণ্ডে “সঞ্চয়嫩 ی[ 鱗 ভাণ্ডারের গু কথা উপলক্ষে 隨 °隨 আমরা অর্থসঞ্চয়ের এক সুলভ "}উপায় নিৰ্দ্দিষ্ট করিয়াছি, তদনুসারে সঞ্চয়ানুশীলন করিলে সংসারী ব্যক্তির অনেক প্রকার উপকার সন্তবে, পরন্তু তাহার অভিপ্রেত সিদ্ধ হওনের দীর্ঘকাল প্রয়োজন, এবং তাহার অনুসরণে মনুষ্য সর্বদা স্বচ্ছন্দমন হইতে পারেন না । অতএব যে উপায়ে পরিবারের নিমিত্ত এক দণ্ডের মধ্যে সঙ্গতিম মার্জিত হইতে পারে তাহার অবতারণ করা বিধেয়। আশু বোধ হইতে পারে যে, কুহক ভিন্ন এ অভিপ্রেত সাধ্য নহে, পরন্তু পরীক্ষাদ্বারা নিৰূপিত হইয়াছে যে, ক্রমশঃ সঞ্চয় যে প্রকার সাধ্য ইহাও তজপ, ইহাতে তদপেক্ষা গুৰুতর আয়াস আবশ্যক করে না । ইহা যে বিশেষ প্রয়োজনীয় ইহা বলা বাহুল্য । ভদ্র গৃহস্থেরা অনেকে যথাসাধ্য উপার্জন করিয়া দিনপাত করেন, তাহাদিগের মনে সর্বদা এই মছভাবনা জাগৰক থাকে যে হঠাৎ তাহার মৃতু্য হইলে তাহার স্ত্রী পুএ উপজীবিকাভাবে সুখস্বচ্ছন্দহইতে একেবারে দুস্তর দুঃখসাগরে লিম জ্জিত হইবে । স্নেহাম্বিত স্বামী ও পিতার পক্ষে এতদপেক্ষা গুৰুতর অন্য ভাবনা অলপ আছে এব• ইহার প্রতীকার করিতে সকলেই আগ্রন্ধী আছেন ; সঞ্চয় করিবার এই এক মুখ্য উদ্দেশ্য, কিন্তু মৃত্যুকালের নির্দিষ্টত না থাকা প্রযুক্ত ও অনেকের পক্ষে উপার্জনের লাঘবতা প্রযুক্ত তাহাতে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় না। যে ব্যক্তি অদ্য মাসিক শত মুদ্রায় পরিবার-বর্গকে পরমসুখে রাখিতেছে, কখন ২ তাহার লোকাস্তে পরিবারজর্গ একেবারে নিঃস্ব ও নিরবলম্ব হইয়া পড়ে। সান্ধী স্ত্রীগণ श्रट्ञोश्रो७ नखान जड्रेञ्च श्रमाथिनी इड्रेटज मूइश्वসাগরে ভাসমান হইতে থাকে। তৎকালে কিঞ্চিৎ উপজীবিকার সংস্থান থাকিলে ঐ অর্থ উহাদিগের কর্ণধার হইয়া অভিপ্রেত কুলে আনয়ন করে । পরিবার নিতান্ত , অধিক থাকিলে কর্তার মৃত্যুর পর পরিবারমধ্যে প্রায় নানা বিশৃঙ্খলা ঘটে। অনেক স্থলে সৎসার ছিন্ন ভিন্ন হইয়া যায় । - অল্প-উপার্জনকারী ব্যক্তিবর্গ যহা অর্জন করেন তাহা উহাদিগের দৈনিক সেবায় ব্যয়িত হইয়া যায়। ইহারা যাহা বাচাইয়া রাখেন তদ্বারা কিছু ফল হয় না। হয় ত মৃত ব্যক্তির অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়াতেই পর্য্যবসিত হইয়া আইসে । আজীবন পরের আজ্ঞাবহ পুএকলব্রাদিকে সুখী করিয়া না যাইতে পারিলে মনে কত ক্লেশ উদিত হইতে থাকে । উপাৰ্জ্জক উৎকট-রোগগ্রস্ত হইলে স°সারের দুঃখশ্রোত প্রবাহিত হয়। তৎকালে জ্ঞানবান পুত্রের চক্ষু আরক্ত, কন্যার নয়ন বিভূতে পরিপূর্ণ, পিতা অবলম্বিতযষ্টি ভ্রষ্ট ও বিবস্ত্র, মাতা ম্ৰিয়মাণা, অন্যান্য আত্মীয়গণ থেদাম্বিত, ও স্ত্রী এককালে অচেতনা হইয়া পড়ে। এই গুলি স্মরণ হইলে কাহার মানস সরোবর দুখঃস্রোতে উদ্বেল হইতে না থাকে। তখন মুমুধু