পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (তৃতীয় পর্ব্ব).pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@8 ब्रा क्षका काङ्ग मा 1 ८न कूणिज्र इङ्ग्रेष्ज झडीङ्ग मखु | উৎপাটিত করিয়া ফেলে। কল্পীসমূহ যুথবদ্ধ হইলেও এ জন্তুকে পরাস্ত করিতে পারে না ।” এই বর্ণনা আশু অলীক বোধ হইলেও ব্যাঘ্রের সম্বন্ধে ইহা মিথ্যা নহে । ফলে তিনি ব্যান্ত্রের উল্লেখ করিয়াছিলেন । তিনি অপর লিথিয়াছেন, “ আমি সপের যে ৰূপ প্রক্লতি শুনিয়াছি তাহাতে আমার এই বিশ্বাস জন্মিয়াছে যে যদি কেহ ঐ জীবকে বশীভূত করিতে পারে তবে সে তদ্বারা অনেক রাজ্য উচ্ছিন্ন করিতে পারে, ও অনেক জনসমাজকে অনায়াসে পরাস্ত করিয়া তাহাদিগের উপর যথেচ্ছ ব্যবহার করিতে পারে । এই জীবের দীর্যতা ৫০ হাত পৰ্য্যন্ত হইয়া থাকে, ও পরিধি ১০ হাত পর্য্যন্ত দেখা গিয়াছে । ইহাদিগের নিশ্বাসবায়ু প্রকাণ্ড ঝড়ের তুল্য। মুখ ব্যাদান করিলে জীবিত গো, মহিষ, ব্যাঘ্ৰ, ভল্লুক পর্য্যন্ত যদি নিকটস্থ হয় তাহাদিগকে গলাধঃ করিতে সমর্থ হয়। অন্য পশুদিগের সৌভাগ্য এই যে ঐ সপ নিশ্চল হইয়া এক স্থানে থাকে । কথন কথন লুণ্ঠন পূর্বক নিতান্ত কষ্টগ্রেষ্ঠে ৫০ । ২০ হাত দূর যাইতে পারে । এ কথাও অসম্ভব হইলেও ইহা বোড়া সপের নিতান্ত অনুপযুক্ত বর্ণন মহে । পারস্য-রাজ্যের অধিপতি আর্তজরকৃসস খ্ৰীষ্টীয় ৪-১ শকে গ্রীকৃ-জাতির নিকট ভারতবর্ষস্থ পক্ষী বিশেষের গল্প করিয়া আপনাকে অতিশয় অনুসন্ধিৎসু বলিয়া বিশেষ আদৃত হইয়াছিলেন। তিনি এই বলিয়াছিলেন, “তোমরা মনে করি-তে ভারতবর্ষে একপ্রকার পক্ষী আছে তাঙ্কার মনুষ্যের মত কথা কহে । বিচার করিতে পারে । শাস্ত্রের যথার্থ মৰ্ম্ম অন্যকে উপদেশ দেয়। যে গৃহস্থের বাটতে থাকে তাহার পুঞ্জ গ্রীকজাতির নিকট ভারতবর্ষ-সম্বন্ধীয় কিংবদন্তী । [রহস্য-সন্দর্ভ কলত্রাদির নাশ হইলে সুমিষ্ট গীত ধনিদ্বারা তাহাদিগের শোকসন্তাপাদি দূর করিয়া থাকে। বাস্তবিক এ সকল গুণ তাহাদিগের স্বভাবসিদ্ধ নহে । তবে মনুষ্যেরা বারবার উহাদিগের ঐ বিষয় শিক্ষা দেয় । তাহাতে ঐ গুলি উহার কণ্ঠস্থ করিয়া রাখে। ঐ পক্ষী যাহা কণ্ঠগত করিতে পারে নাই তাহা কখনই বলিতে পারে না। আমি জানি উৱাদিগের বিচারশক্তি নাই । তবে উহাদিগের জিহাতে জড়তা লক্ষ্য হয় না । মনে কিঞ্চিৎ ধারণাশক্তি আছে। দর্শনেন্দ্রিয় কিঞ্চিৎ প্রবল। স্বরানুভাবকতাও নিতান্ত নূ্যন নহে । এই সমুদয় কারণে উহার অপরিচিত ব্যক্তিকে চিনিতে পারে। ভারতবর্ষীয়েরা কহে যে এই পক্ষীদ্বারা জামরা চোর ধরিতে পারি। তাহারা আরও কছে, জন্মান্তরে ইহারা মনুষ্য ছিল, আমির শাপে পক্ষীযোনি প্রাপ্ত হইয়াছে ; শুভাদৃষ্টবশতঃ বাকৃশক্তির কিঞ্চিৎ প্রকাশ আছে ।” বিদেশীয়েরা এ কথায় বিস্ময়ান্বিত হইলেও ইহা ময়নার বর্ণন অসম্ভব নহে । . নীয়ার্কস ভারতবর্ষহইতে মুক্ত লইয়া গিয়াছিলেন এক দিন সভাস্থলে তাহার কণ্ঠ মুক্তাকলাপদ্বারা পরিশোভিত দেখিয়া সভ্যেরা কহিলেন, “ আপনার গ্রীবাশ্রদেশ কি অমূল্য মণিদ্বারা ভূষিত হইয়াছে, অনুগ্রহপূর্বক তাহার যাথার্থ্য বলিলে আমাদিগের কৌতুহল চরিতার্থ হয়।” তিনি কহিলেন, “ ইহা একৰপ খনিজ পদার্থ।” কিন্তু কি প্রকারে ইহার শোভা সম্পাদিত হয় তাহা জানিতে পারি নাই। তবে পরিহাস-বাক্যে তদেশ-বাসীরা বলে, যে ইচ্ছার জন্ম জলে “ সৌন্দৰ্য্য গুণে উঠে বীর পুৰুষের গলে ।” • এই কথা শুনিয়া এক জন বিজ্ঞানবিৎ কহিলেন, “ ইহা পরিহাস-মূলক নহে; প্রকৃত কথা । আমি ইহার স্বভাব যাহা শুনিয়াছি তাছাও মি