পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (তৃতীয় পর্ব্ব).pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** ガs ] সেন রাজাদিগের বsশাবলী । గ్రీ వె তাহার প্রমাণ অদ্যাপি কোন নিঃসন্ধিথা প্রাচীন বঙ্গীয় বা সংস্কৃত গ্রন্থে প্রাপ্ত হওয়া যায় না; ফলে সে সময়ে এতদ্দেশে এই ক্ষণকার বঙ্গভাষা প্রচলিত ছিল কি না তাহারও প্রমাণ নাই। ব্রাহ্মণ ও কায়স্থদিগের কুলের গরিম সর্বদ হইয়া থাকে; ঐ কুলের স্থষ্টি বল্লালসেন নাম কোন রাজা নিৰ্দ্দিষ্ট করেন, এতদ্ধেতুক “ বল্লালী কুল গু শব্দ সর্বত্র বিখ্যাত হইয়াছে । ঐ বল্লালের অনুরোধে অনেক কুপ্রথা দেশে প্রবল রহিয়াছে । অনেকে তাহ ধৰ্ম্মের প্র- ; থান অঙ্গ বলিয়া নানা অধৰ্ম্ম স্বীকার করিয়া থাকেন । অনেকে কন্যার প্রতি পিতৃকৰ্ত্তব্যতা একেবারে বিস্মৃত হইতেছেন। কেহ কেহ চিরদুঃখের আকর সতিনের উপর প্রাণাধিকা কমনীয়া কন্যাকে বিসৰ্জ্জন দিয়া কুলাভিমান পরিবদ্ধন করিতেছেন । অপরে সেই অভিমানে দুহিতাকে আজন্ম অনুঢ়া রাখিয়া নানা পাপের আদিকারণ হইতেছেন । অথচ তাহাদের মধ্যে কেহই সেই বল্লালের ইতিহাস প্রকৃত ৰূপে জ্ঞাত নহেন। অতি অল্প ব্যক্তি কহিতে পারেন যে সেই রাজা কোন সময়ে রাজ্য করিয়াছিলেন। তিনি কয় বৎসর কোথায় রাজ্য করিয়াছিলেন, ও তাছার জন্ম ও মৃত্যুর সময় কি তাছা কেহই নিশ্চয় জ্ঞাত নহেন। র্তাহার পিতার নাম বিষয়ে অনেকের ভ্রম ছিল, এবণ সম্প্র তি সপ্রমাণিত হইতেছে যে তেঁহ বৈদ্যজাতীয় ছি- | লেন বলিয়া যে প্রবাদ প্রসিদ্ধ আছে তাহা সম্যকৃ অমূলক । ফলে র্যাহাকে লোকে “ কুলবিধাতা ” বলিয়া আপনাদিগের কুলগরিমা পরিপুষ্ট করিতে মানস করে, তাহার কুলের ও বংশের কিছুমাত্র टेइर्शी नारे ; ट्रेझांझ्झे८ऊ छै°ाशरनाङ्ग विबग्न थाब्र কি হইতে পারে? কথিত আছে ঐ বল্লালের পূর্বে আদিশূর নাম এক ভূপতি রাজ্য করিয়াছিলেন; তিনি কান্যকুজহইতে পঞ্চ জন ব্রাহ্মণ আনাইয়া তাহাদিগকে এবং তাহাদিগের স্বমভিব্যাহারী পঞ্চ কায়স্থকে লইয়া কৌলিন্য প্রথার প্রথম সূত্রপাত করেন । সেই প্রযুক্ত আদিশূরের নাম বঙ্গদেশে প্রত্যেক ভদ্রগুহে আত্মীয়ের ন্যায় পরিচিত আছে ; অথচ সে ব্যক্তি কোন বংশীয় ও তেঁহ কোন সময়ে বর্তমান ছিলেন তাহার কিছুই নি র্দিষ্ট নাই। কুলাচার্য্য ভট্টের একটা বাঙ্গালী পদ আওড়াইয়া থাকেন; তদনুসারে ১৭শুভ শকাদায় কনৌজ ব্রাহ্মণদিগের গৌড়ে আগমন প্রকপিত হয় ; পরস্তু তাহা যে সৰ্বতোভাবে অমূলক তাহা অনায়াসেই সপ্রমাণিত হয়। সেই সকল ভ্রম কেবল মাত্র ইতিহাসের প্রতি অনাদর প্রযুক্ত ঘটিয়াছে, এবং ঐ ভ্রমের অপলাপ নিমিত্ত এই ক্ষণে কোন গ্রন্থ বর্তমান নাই। পরন্তু প্রাচীন তাত্মশাসন, পূৰ্বকালের অট্টালিকাদির উপর খোদিত প্রস্তর-ফলক, প্রাচীন মুদ্রা প্রভৃতি পদার্থ ইতিহাসের দ্যোতক বলিয়া গণ্য হইয়া থাকে; তাহার অবলম্বনে গ্রন্থের অভাব অনেক অংশে অপনোদিত হুইতে পারে । বিশেষতঃ ঐ সকল পদার্থ গ্রন্থহইতে অনেক অণশে বিশ্বাসযোগ্য ; কারণ গ্রন্থের পাঠ অনায়াসে লুপ্ত বা পরিবর্তিত হইতে পারে, কিন্তু তাম্রশাসন বা মুদ্রায় সে আশঙ্কা কদাপি হয় না। পূর্বে ভূমিদান-করণ-সময়ে ঐ দানের নির্দেশপত্র তাম্রফলকে খোদিত করিবার রীতি ছিল ; ভূপালের তদ্রুপ ফলকে আপন বংশ যশঃ ও কীর্তিকলাপ বর্ণন করিতে সর্বদা অনুরক্ত ছিলেন ৷ ‘ অপর দেবমন্দিরাদি প্রতিষ্ঠা করিলে তদ্বিবরণ ও আপন প্রশংসাপুঞ্জ প্রস্তরফলকে থোদিত করিয়া তাহা ঐ মন্দিরে স°লক্ষ রাখিতেন ; তাহাতে আপন কীর্তিকলাপ চিরকাল বিরাজিত থাকিবেক এই তাহাদিগের একমাত্র অভিসন্ধি ছিল। কিন্তু কালের করাল গ্রাসে সেই মন্দির সকল বহুকালাবধি বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে, ও যে সকল ব্রাহ্মণ ঐ ভূমিদান প্রাপ্ত হইয়াছিলেন,