পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (তৃতীয় পর্ব্ব).pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ অদ্যাপি পরীক্ষিত হয় নাই, সুতরাং ঐ বংশের প্রমাণ-সাহায্যে অন্য বাক্য প্রমাণ হইতে পারে না । কেহ কেহ সেন উপাধিই তাহদের বল্লা লের পরিচায়ক মনে করেন, কিন্তু তাহ প্রমাণ । হইলে সুবর্ণবণিকৃ সেনদিগকে সগোত্র করিবার বাধা থাকে না । অপর সেন রাজাদিগের জাতি-বিযয়ে যে প্রকার ভ্রম দৃষ্ট হইল, র্তাহাদিগের রাজ্য-কাল-সম্বন্ধেও সেই ৰূপ ভ্রম আছে। আদিশূরের রাজ্যকালে যখন কান্যকুন্ডহইতে ব্রাহ্মণ কায়স্থদিগের আগমন হয়, তৎসময় ঘটক-কারিকার মতে ৯৯৪ শকাব্দ, ইংরাজী ১০৭২ । ঐ কারিকা, যথা— • শক ব্যবধান কর অবধান ব্রাহ্মণ প্রস্থান যথা, অঙ্কে অঙ্কে বামাগতি বেদযুক্ত তথা । কন্যাগত তুলাঙ্ক ক্ষক গুৰু পূর্ণ দিশে, সহর কোলঞ্চ ত্যজিয়ে গৌড় প্রবেশে এসে । ** ক্ষিতীশবংশাবলী-চরিত নাম গ্রন্থে ইহার অন্যথায় ১০০০ শকাব্দ উক্ত ঘটনার কাল নিৰূপিত হইয়াছে। পরন্তু এ উভয়ই যে অসত্য ইহা অনায়াসেই নির্দিষ্ট হয়। মিনহাজ-উদী মৃ-নাম এক জন প্রসিদ্ধ ইতিহাসবেত্তা ই• ১২৩০ অব্দে “ তবকাং-নাসরী ” নাম এক খানি ইতিহাস গ্রন্থ রচনা করেন, তাহাতে পাঠানদিগের এতদ্দেশে রাজ্য শব্দের অপভ্রংশে পারসীতে বিস্তার-বিষয়ের অনেক বর্ণন আছে । বখতিয়ার থিলিজীর এতদেশ-জয়-করণের অত্যপে কাল । সেন রাজাদিগের বংশাবলী । [রহস্য-সন্দর্ভ । প্রমাণ তদ্রুপ প্রাচীন না থাকায় তা হাই সৰ্বশ্রেষ্ঠ মানিতে হয়। ঐ গ্রন্থে লিথিত আছে যে বখতিয়ার থিলিজী ই• ১২০৩ অব্দে বঙ্গদেশ জয় করেন, এব° যে সময়ে তেঁহ বঙ্গ দেশ জয় করেন তৎকালে অশীতিপর রদ্ধ এক রাজা নদীয়ায় রাজত্ব করিতেন; তাহার জন্মাইবার পূর্বে র্তাহার পিতার মৃত্যু হয়, এবং তাছার জন্মসময়ে জ্যোতিযাঁরা কছেন এতল্লগে তিনি ভূমিষ্ট হইলে তাহার সম্যক্ অনিষ্ট ঘটিবে ; কিন্তু দুই দণ্ড কাল বিলম্বে জন্মিলে তিনি দীর্ঘায়ু হইবেন । এই কথা শুনিয়া র্তাহার মাতা মাপন পদদ্বয়ে রজজু বাধিয়া দুই দণ্ড কাল ছাদহইতে ঝুলিয়া থাকেন, পরে শুভ লগ্ন উপস্থিত হইলে পদ বিমুক্ত করিয়া সন্তান প্রসব করেন । এই প্রক্রিয়ায় যদিচ পুত্রের দীর্ঘায়ুস্তু সিদ্ধ হুইয়াছিল বটে, কিন্তু তাহাতে র্তাহার তৎক্ষণাৎ পঞ্চস্ব প্ৰtাপ্তি হয় । শিশুটী জন্মিবা মাত্র রাজসিংহাসনে সংস্থাপিত হুইয়াছিল, এবং তদবধি অশীতি বৎসর যাবৎ রাজ্য করে । এই রাজার নাম “লক্ষ্মণিয়” । এই ব্যক্তি কে? তাহার কোন প্রমাণ এদেশীয় কোন গ্রন্থে দৃষ্ট হয় না। পরন্তু ইনি যে বঙ্গদেশের শেষ হিন্দুরাজা মিনহাজ উদ্দীনের প্রমাণে তাহাতে কোন সন্দেহ নাই । ইহঁার নাম বঙ্গীয় বটে, কিন্তু তাহা কোন শব্দের অপভ্র°শে হইয়াছে তাহার প্রমাণ নাই। লক্ষ্মণ “बछ्भन्” श्ञ्च, তাহা লক্ষ্মণিয়ার মূল হইতে পারে না। এই প্রস্তাব পরেই ঐ গ্রন্থকার বাঙ্গলায় আসিয়া ইহার পূর্ব লেখক অনুমান করিয়াছেন যে ইহা “লাষ্মণেয়” বিবরণ সঙ্গুহ করেন, এবং কপ্রক বৎসর পরেই শব্দের অপভ্রংশ হইবে । বল্লাল সেনের পুএ লক্ষণ তাহা লিপিবদ্ধ করেন ; অতএব তাহার লেখন ; সেনের উল্লেখ পূৰ্বেই হইয়াছে ; তাহার অপবঙ্গদেশের জয়-বিষয়ে অকাট্য প্রমাণ বলিয়া ত্যার্থে ‘ষ্ণেয়” প্রত্যয় যোগে লাক্ষণের পদ সিদ্ধ গ্রন্থণ করিতে হয়। কি সংস্কৃত কি বঙ্গভাযায় ঐ হয়, এব• তাহারই ঈষদ অপভ্রংশে “লক্ষ্মণিয়া” বিষয়ে এমত কিছুই নাই যাহা তাহার তুল্য প্রা- হইয়াছে । এই ব্যক্তির প্রকৃত নাম, বোধ হয়, মাণ্য হইতে পারে ; সুতরাং তদ্ভিন্ন অন্য কোন অশোক সেন ছিল। র্তাহার জন্ম-পূর্বেই তাহার ।