পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (তৃতীয় পর্ব্ব).pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ শ্যেন মৃগয়া । [র হস্য-সন্দর্ভ ভদ্র হিন্দুরা শ্যেন পক্ষীর সাহায্যে মৃগয়ানু- |<गरे কুৎসিত প্রথার অন্যথাবলম্বনে কি অজ্ঞ কি রক্ত হইতেন এমত কোন প্রমাণ নাই। ফলে প্রাজ্ঞ কেহই অগ্রসর ছিলেন না। ইহা ভদ্রের উপযুক্ত ক্রীড়া বলিয়া গণ্য ছিল । প্রবাদ অাছে যে বাজপক্ষীদ্বারা পক্ষী-শিকার না। পারস আরব ও তুৰুস্ক দেশে তদ্বি- করিবার প্রথা খ্ৰীষ্টাব্দের চতুর্থ শতাব্দীতে ইউপরীতে শ্যেন-মৃগয়া ভদ্রের উপযুক্ত ক্রীড়া ; রোপের উত্তরভাগহইতে ইলেণ্ডে সর্বাদে। নীত বলিয়া গণ্য আছে, এবং তদৃষ্টান্তে ভারতবর্ষের হয়। প্রাচীন সাক্সন-জাতীয়েরা ইহার প্রতি মুসলমানেরা তাহাতে বিশেষ অনুরক্ত আছেন। অতিশয় অনুরাগ প্রকাশ করিত। কিন্তু তাহার তথা তাহাদের অনুকরণে পশ্চিমাঞ্চলের কোন ; বাজ পক্ষীকে উওম ৰূপে শিক্ষিত করিতে জানিত কোন ভদ্র হিন্দুও ইহার অনুসরণ করিয়াছেন । সে যাহা হউক, ইউরোপখণ্ডে ইহা একদা অত্যন্ত সমাদরণীয় ছিল ; এবং রাজা ও শ্রেষ্ঠকল্প লোক ব্যতীত আর কেহই বাজ পক্ষী গৃহে রাথিতে পারিতেন না। কোন সী মান্য লোক গোপনে শ্যেন প্রতিপালন করিলে জৰ্ম্মণী, ডেনমার্ক, নর্বে প্রভৃতি দেশেও ইহার প্রকাশ হুইবামাত্র অত্যন্ত দণ্ডনীয় হইত। শ্যেনমৃগয়া তত্ৰত্য রাজাদিগের অত্যন্ত কৌতুকজনক । ক্রীড়া বলিয় বিখ্যাত ছিল ; এবণ তাহ ধনী । ব্যক্তিমাত্রেরই মুখ্যকৰ্ম্ম ও কালহরণের উপায় । বলিয়া অনেকে ব্যঙ্গও করিত । বাস্তবিক প্রসিদ্ধই আছে যে কি উদগ্রমতি যুবা কি অশীতিপর । রদ্ধ সকলেই ইহার প্রতি তুল্যানুরাগ প্রকাশ । করিতেন । রাজমহিলারাও শ্যেনপক্ষীদ্বারা শি কার করণে প্রফুল্লচিত্ত হইতেন। কোন সহৃদয় । ব্যক্তি লিথিয়াছেন যে চীনদেশে মহামহোপা ধ্যায় পণ্ডিতরন্দের প্রগাঢ় পাণ্ডিত্যের লক্ষণ স্বৰূপ করশাশ্বাগ্রে সুদীর্ঘ নথর রক্ষা করা যাদৃশ চিরপ্রসিদ্ধ রীতি, তদ্রুপ ইউরোপীয় মান্য বক্তিদিগের মুষ্টির উপর একটা বাজপক্ষী না থাকিলে লোকসমাজে তাহাদিগের কোন ক্রমেই ভদ্রতা রক্ষা হইত না । তৎপ্রযুক্ত প্রাচীন সময়ে বাজপক্ষী হস্তে করিয়া অনেক ভদ্র লোক গিজাতেও গমন করিতেন । ভজনা কালে ঐ সকল পক্ষীর কঠোর চীৎকারে শ্রুতি আকুল ও চিত্ত ব্যাকুল হইলেও না ; তজ্জন্য তজ্জাতীয় কোন অধীশ্বর উইনিথ্রেড নামা এক প্রধান ধৰ্ম্মাধ্যক্ষের নিকটহইতে কতকগুলি প্রতিপালিত বাজপক্ষী গ্রহণ করিয়াছিলেন । সাক্সন-জাতীয়েরা শরত-কালেই এতৎ ক্রীড়ায় বিশেষ উন্মত্ত থাকিত ; তৎপূৰ্বে সম্যকৃ প্রাদুর্ভাব ছিল। কিংবদন্তী আছে যে যৎকালে দিনামার জাতীয়েরা ইংলণ্ড দেশ অাক্রমণ করে তখন ইংলণ্ডীয় লোকের বাজদ্বারা শিকার-বিষয়ে কতকগুলি নিয়ম পরি জ্ঞাত হুইয়াছিল । কিন্তু একাদশ খ্ৰীষ্টাব্দে ডেনমার্ক ও নর্বের অধিপতি কেন্তু উট ইলেণ্ডের সিংহাসন প্রাপ্ত হইবায় তিনি এত৫ ক্রীড়ার পরম প্রতিপোষক হইয়াছিলেন । তাহার আধিপত্যকালে এতৎ-ক্রীড়া-সম্বন্ধে কোন বিশেষ শাসন প্রণালী প্রচলিত ছিল না । তৎপর নৰ্ম্মাণ্ডীর অধিপতি উইলিয়ম ইংলণ্ডদেশ পরাভূত করিলে এই ৰূপ নিয়ম স্থাপিত হইয়াছিল যে মান্য ব্যক্তি ব্যতীত অন্যে শ্যেন পক্ষী প্রতিপালন করিতে পারিত না । . তৎকালের নৰ্ম্মাণ-ব°শের আত্মগারমায় ইংলণ্ডীয় লোকেরা ক্রীতদাস অপেক্ষাও অত্যন্ত হেয় হইয়া তাহাদিগের প্রভুত্ব বহন করিতে বাধ্য হইয়াছিল । প্রসিদ্ধ আছে যে নৰ্ম্মাণ-ব°শের ধনাঢ্য লোকের বিজিত ইংলণ্ডবাসিদিনের প্রাণস°হারও কোন মতে অপকৰ্ম্ম জ্ঞান করিত না ।