এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
রাঘব-বিজয় কাব্য হ’লে জর্জরিত, দ্বিতীয় রাবণ পুনঃ একবাকো ধরাবাসী চাহিবে তখন ; তখন বুঝবে বিশ্ব এ ভুজগরিম।” বলি চাহিলেন পতি কুহেলীজড়িতনেত্রে মহিষীর মুখে । ভক্তি-বিস্ফারিতদৃষ্টি সতীকুলোত্তম, পতিমুখমুধা পান করিলা লোচনে, নীরবে । আপন৷ ভুলিয়, তদগতভাবে লাগিলা কহিতে— “জীবিতেশ, তব প্রেম, তব গভীরতা কি জানিবে ধরাবাসী ? মোর ভাগাবলে তুলিয়া লয়েছ তুমি আপন হৃদয়ে, তাই জীবিতেছি প্রাণে, জীবনবল্লভ । অপ্রিয় বচন, যদ্যপি কহিয়া থাকি, ক্ষম দয়া করি, প্রাণনাথ ! এ জীবনে তোমার অপ্রিয় কথা কহিনি কখনে, মনে কভু পায় নাই স্থান । দিবানিশি তুমি ধান, তুমি জ্ঞান—তব উপাসন করিয়াছে দাসী তব, এ মনোমন্দিরে । আমি অভাগিনী, মোর ভাগাদোষে, হায়, ঘটিল এ-হেন দশ৷ ” ধীরে উত্তরিলা