পাতা:রাজকন্যার গুপ্তকথা - দেড়ে বাবাজী.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনেশ্বর দর্শন। SS মত-কুমীরের ন্যায় হাঁ করে হাঁই তুলছেন,-আর অদ্ধমুদ্রিত নয়ন করে, शष्ठ ठूम्लि रिश्न योगgछन “7icङ। ! cङाभाशशे छेtष्छ ।” উদাসিনী কাহারও দিকে ফিরেও চাইলে না। কেবল পরিণত বয়স্ক দুই একটি প্রাচীন শাস্ত্ৰজ্ঞ সন্ন্যাসীদের সহিত সংস্কৃত ভাযাতে শাস্ত্রের কথা বাৰ্ত্ত চলতে লাগল। উদাসিনীকে দেখে পূৰ্বরাত্ৰি হইতেই আমি 'ত আশ্চৰ্য্য হয়েছিলেম, তখন তঁর সংস্কৃত ভাষায় কথা শুনে ও শাস্ত্ৰালাপে আরও বিমোহিত হলোম। এইরূপ কিছুকাল কথা বাৰ্ত্তার পর উদাসিনী আমাকে সঙ্গে নিয়ে সেই প্ৰবীন সন্ন্যাসীদের সহিত ভুবনেশ্বরের মন্দির মধ্যে প্ৰবেশ কিল্লেন । মন্দিরটিী অতি প্ৰাচীন কালের নিৰ্ম্মিত কত যুগ যুগান্তর অতীত হয়েছে-কত রাজ্যবিপ্লব ঘটেছে,- ষবানদের অত্যাচার ঝটিকায় কত শত দেবালয় উৎপাটন করেছে,-কিন্তু এত অত্যাচারের মধ্যেও এই মন্দিৰটী অক্ষুন্নভাবে আছে। মন্দিরের মধ্যে - ভুবনেশ্বরের পাষাণময় মূৰ্ত্তি বিরাজিত। মন্দিরমধ্যে ভালরূপ আলো প্ৰবেশ করতে পায় না, এজন্য সৰ্ব্বদা অন্ধকারণয়-সেই অন্ধকার সরোধরে কাল পাথরের ভুবনেশ্বৰ কালিন্দীর কাল জলে কাল কাল কৃষ্ণঠাকুর যেমন ডুব দিয়েছিলেন, সেইরূপ ডুবে আছেন অন্ধকূপ নামক কারাগারমধ্যে কয়েদীরা যেমন ছিল, সেই রকম ভুবনেশ্বর চব্বিশঘণ্টা আটক আছেন। পাথরের গঠন, পাথরের শরীর বলেই রক্ষে, -প্ৰাণী হলে যুদণ্ডকাল তার মধ্যে থাকা ভার। আবার যখন কোন যোগ উপস্থিত হয়, যাত্রীর বেশী আমদানী হতে থাকে,-তখন যে কি ভয়ানক কষ্ট হয়,--তা বলে বুঝান যায় না । আমরা ভূবনেশ্বর দর্শন করে যোগেশ্বরের মন্দিরে ঢুকলেন । —এই রূপে ক্রমে ক্রমে অনেকগুলি দেবালয় ও বিগ্ৰহ দৰ্শন করে জন্ম সার্থক, কল্লোম। যথার্থ কথা বলতে কি, দেব দর্শনে কি অন্য কোন কথাবাৰ্ত্তায় কিছুতেই আমার মনে তৃপ্তি হচ্চে না। উদাসিনীর গুপ্ত কথা শুনাপার জন্য আমার মন এরূপ চঞ্চল হয়েছে,-যে কিছুই ভাল লাগে না। সর্বদাই ঐ চিন্তায় মন তোলাপাড়া হতে লাগল। মনে মনে প্ৰতিজ্ঞা কল্লেম,-হাজার বিপদ হোক,-হাজার কষ্ট হোক, হাজার নিবারণ করুন,--কিছুতেই উদাসিনীর সঙ্গ ছাড়িব না। gunggup