পাতা:রাজকন্যার গুপ্তকথা - দেড়ে বাবাজী.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখবন্ধ। পুথি লিখতে গেলেই উপক্ৰমণিকা-গ্ৰন্থসূচনা-মুখবন্ধ প্রভৃতি গৌরচন্দ্ৰক ভাঁজতে হয়-এ দোকানদারিটী অনেক দিন হতে চলে আসছে,-সুতরাং আমরাও ছাড়ি কেন ? হরিদাসের গুপ্তকথা-গুপ্তলিপি প্ৰভৃতি কতরকমেরই গুপ্তরহস্য নিয়ে কত গ্ৰন্থকার সংসার-রঙ্গভূমিতে সুবতীর্ণ হয়েছেন। আমরা ভাঙ্গা আসরে আজ ‘ठेलসিনী রাজকন্যার গুপ্তকথা” নিয়ে পাঠক ও পাঠিকাগণের মুখে উপস্থিত হচ্ছি। রাজকন্যার কাহিনী অতি অদ্ভুত, এতে না আছে এমন ব্যাপারই নাই। সমূদ্রমন্থনে যেমন - অমৃত-হলাহল, লক্ষনী উচ্চেশ্ৰবা, কৌস্তুভ মুণি প্রভৃতি কত রকমের কত পদাৰ্থ উঠেছিল, এই গুপ্তকাণ্ডের মধ্যেও সেইরূপ নানা ব্যাপার, নানা ঘটনা, নানা কারখানা দেখতে পাবেন। শরৎকালের মেঘাৰ্জনের ন্যায় বৃথা বাক্যব্যয় করার কোন ফল নাই, বেলফুলের মালা, সখের জলপান ফেরিওয়ালাদের মত “পথে পথে চীৎকার করে খদেয়। ডাকার ন্যায় প্লাকার্ড ও বিজ্ঞাপন বিতরণ করারও একটা রীতি আছে,-আমরা তাও অবলম্বন করতে বিমুখ হই নাই, ফল কথা এখনকার ধরণ বজায় রাখতে সকল প্রকার চেষ্টা করা হয়েছে। মুখবন্ধে সকল বিষয় লিখতে হলে গল্প লাট হয়, সেই অনুরোধে এখন পাঠকবর্গের নিকট হতে বিদায় হই! কঁসারী পাড়ার সংয়ের ন্যায়—ভগ্নপাইকু দূতের মত মধ্যে মধ্যে এসে পাঠকগণের মনস্তুষ্টি করু— ত্রুটি করব না ! सांगा শ্ৰী—দেড়ে বাবাজী