পাতা:রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C-8 शष्हौद विश्वक उस ब्रbना কাব্যেযু సౌiశాN్క్స صبح”“” তৎসৰ্ব্বং জয়দেব পণ্ডিত কবে; কৃষ্ণকতা নাৎময়ঃ ՀՀը : সানন্দাঃ পরিশোধয়ন্তু সুধিয়ঃ শ্ৰীগীতগোবিন্দতঃ ॥ হাফেজ বলিয়াছেন যে তাহার কবিতা এত মধুর যে আকাশমণ্ডল তাহাতে সন্তুষ্ট হইয়া তাহার উপর মুক্তবর্ষণ করিতেছে। মধুর আত্মশ্লাঘা কিছু অধিক পরিমাণে ছিল । তিনি আমাকে বলিলেন যে “ভবিষ্যৎ বংশীয় হিন্দুরা বলিবে যে নারায়ণ কলিযুগে অবতীর্ণ হইয়া মধুসুদন দত্ত নাম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন এবং শ্বেতদ্বীপে গিয়া যবনী বিবাহ করিয়াছিলেন”। তাহার পরে অনেক কথা হইল। আমি এই দীর্ঘ কথোপকথনের সময় বলিলাম যে “আমার এই সংস্কার জন্মিয়াছে যে তোমার পরিচ্ছদ ও আহার ইংরাজের মতন হইলেও তোমার হৃদয়টা সম্পূর্ণ রূপে হিন্দু”। তিনি বলিলেন, “তুমি ঠিক আন্দাজ করিয়াছ, আমি হিন্দু; কিন্তু একটা সমাজ ঘোঁসিয়া না থাকিলে চলে না। এই জন্য খ্ৰীষ্টীয় সমাজ ঘেঁসিয়া আছি। বিশেষতঃ যখন খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মাবলম্বন করিয়াছি তখন ঐ সমাজ ঘেঁসিয়া থাকা কৰ্ত্তব্য ।” তৎপরে একদিন তিনি আমাকে আহারের নিমন্ত্ৰণ করিলেন ও যে দিন আহার করিব সেই দিন ইজার চাপকান পরিয়া আসিতে বলিলেন। আমি নিরূপিত দিবসে উপস্থিত হইলাম ও দেখিলাম তাহার ইংরাজী স্ত্রী আমার জন্য অনেক খাদ্যদ্রব্য প্ৰস্তুত করিয়াছেন। সেই দিন তাহার মাত্রাজের একটী ফিরিঙ্গী বন্ধুও উপস্থিত ছিলেন। মধু প্রচুর মদ্যপান করিলেন। বিদায় লইবার সময় তিনি আমাকে জড়াইয়া ধরিয়া কবে ক্ৰমাগত মুখ চুম্বন করিতে লাগিলেন। মধুর যাহা দোষ থাকুক না কেন কিন্তু হৃদয় একেবারে প্রেম ও স্নেহে পরিপূর্ণ ছিল। .