পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a আমাদিগের প্রাণের প্রাণ, ভঁহা হইতে বিচ্ছিন্ন হইলে আমরা প্রাণ হইতে বিচ্ছিন্ন হই, ইহা অপেক্ষা নিকট সম্বন্ধ আর কি হইতে পারে ? যখন এই সত্য আমরা উজ্জ্বল রূপে প্ৰতীতি করি, তখন ঈশ্বরের প্রতি নিৰ্ভরের ভাব কেমন বৃদ্ধি হয় । যখন দেখি যে, তিনি আমাদের প্রাণ মন সকলেরই মূলীভুত, এক মুহূৰ্ত্ত তঁহি হইতে বিচ্ছিন্ন হইলে আমাদের আর কিছুই থাকে না । যখন দেখি যে তঁহাকে অবলম্বন করিয়া আমরা জীবিত রহিয়াছি, তঁহকে আশ্রয় করিয়া আমরা সকলই লাভ করিতেছি । তখন তঁহার প্রতি নির্ভরের ভাব কেমন দৃঢ়ীভূত হয়। যখন দেখি যে, আমরা তঁহা হইতে প্ৰাণ পাইয়া ভঁাহু!- তেই জীবিত রহিয়াছি, তখন তঁহার প্রতি নির্ভরের ভাব যেমন দৃঢ়ীভূত হয়, তাহার সঙ্গে সঙ্গে প্রীতিও কেমন বৰ্দ্ধিত হয়। যখন জানিতে পারি যে, তিনি প্ৰাণের প্রাণ, প্ৰীতি আপনা হইতেই উচ্ছসিত হইয়া পড়ে। তিনি আমার এত নিকট যে, আমি আমার তত নিকটে নাহি । তিনি আমাদের এত নিকট, এই জন্য তিনি আমাদের এতই প্ৰিয় । তিনি “প্ৰেয়ঃ পুত্ৰাৎ প্রেয়ো বিত্তাৎ প্রেয়োহন্যস্মাৎ সর্বস্মাৎ ” তিনি পুত্ৰ হইতে প্রিয়তর, বিত্ত হইতে প্রিয়তর, অন্য সকল বস্তু হইতে প্রিয়তরা । পরমাত্মা আমাদের এত নিকটে রহিয়াছেন, কিন্তু আমরা তাহা উজ্জ্বল রূপে উপলব্ধি করিতে পারি না । এ কেবল আমাদিগেরই দোষ তাহার সন্দেহ নাই। এ দুঃখের কথা কাহাকে জ্ঞাপন.করিব যে, সুহৃৎ। আমা হইতে আমার আরো নিকটে রহিয়াছেন, কিন্তু আমি তঁহা হইতে দূরে আছি । তিনি