পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমরা কৃতজ্ঞ হইতেছি । পুরাবৃত্তে মহত্ত্বের পরাকাষ্ঠ প্ৰদশক মহাত্মাদিগের জীবনচরিত-পাঠ করিয়া যে প্রভূত আনন্দ প্ৰাপ্ত হই, তজ্জন্য আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে তোমার মহিমা গান করিতেছি । সকল প্ৰকার জ্ঞান ও বিজ্ঞান হইতে যে আনন্দ প্ৰাপ্ত হই, তজজন্য আমরা তোমাকে ধন্যবাদ প্ৰদান করিাতেছি । জ্ঞান ও বিজ্ঞান জনিত সুখ হইতে অসংখ্য গুণে শ্ৰেষ্ঠতর ধৰ্ম্মামৃত পান দ্বারা আমরা কি প্ৰগাঢ় আনিৰ্বাচনীয় আনন্দ লাভ করি! পরোপকার-জনিত সুখ কি মধুর! নিরন্নকে অন্ন দান দ্বারা আমাদিগের ভোজন-সুখ কতই না বৰ্দ্ধিত করি। নিরাশ্রয়কে আশ্রয় প্ৰদান করিয়া তুমি যে ” সকলের আশ্রয়, তোমার মঙ্গল স্বরূপ কতই না স্পষ্ট রূপে উপলব্ধি করিতে সক্ষম হই! অজ্ঞানান্ধ ব্যক্তিকে জ্ঞানালোক বিতরণ করিয়া আনন্দ-সাগরে আমরা কতই না ভাসমান হই ! এ সকল পরম পবিত্ৰ সুখ জন্য তোমাকে প্ৰণত ভাবে কৃতজ্ঞতা-পুষ্প উপহার প্রদান করিতেছি, তুমি তাহা গ্ৰহণ কর । এ সকল সুখের জন্যও এক প্রকার কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ করিলাম । তোমাতে নির্ভর করিয়া, তোমাতে আত্মা আপণ করিয়া যে বাক্যের অতীত সুখ প্ৰাপ্ত হই, তজজন্য আমরা কি প্রকার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিব ! আমাদিগের কি ক্ষমতা যে, সেই স্বৰ্গীয় অলৌকিক সুখের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ প্রদান করি। তুমি এক এক বার বিদ্যুতের ন্যায় আমাদিগের মনে প্ৰতিভাত হইয়া যে অনির্বাচনীয় আনন্দে তাহাকে প্লাবিত কর, ইচ্ছা হয়, সেই আনন্দ আমরা দিবা নিশি আস্বাদন করি ; কিন্তু আমাদিগের অপবিত্ৰত সেই আনন্দকে উপভোগ