পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ سb ] হৃদয়াভ্যন্তরে প্রাণের প্রাণ-রূপে অবস্থিতি করিতেছেন, কিন্তু আমি তঁহা হইতে দূরে রহিয়াছি। আমাদের অন্তরে পরম ধন নিহিত রহিয়াছে, কিন্তু আমরা ধনের আশয়ে ইতস্ততঃ ভ্ৰমণ করিয়া বেড়াইতেছি। দেখা গৃহস্থ আপনার গৃহস্থিত ধনের অনাদর করিয়া অন্যত্ৰ ধনের অন্বেষণ করিতেছে, নিজ গৃহে অমূল্য মণি রহিয়াছে, কিন্তু সে তাহার মৰ্য্যাদা না জানিয়া তাহাকে দূরে নিক্ষেপ করিতেছে। এরূপ মনুষ্য কি দুৰ্ভাগ্য। বাস্তবিক আমাদিগের দুর্ভাগ্যের শেষ নাই, আমরা আমাদের অন্তরস্থিত বহুমূল্য রত্ন দেখিয়াও দেখি না । যে মণি আমাদের আত্মার মধ্যে নিহিত রহিয়াছে, তাহার উজ্জ্বলতার কথা কি বলিব ? সুৰ্য্যের অত্যুজ্বল কিরণ, শশধরের অনুপাম জ্যোতিঃ তাহার নিকটে স্নান হয়। ভাবিয়া দেখ আমরা কিছু সামান্য জীব নহি, আমরা অতি মহৎ । যখন সেই পরমাত্মা আমাদিগের হৃদয়-মন্দিয়ে বিরাজ করিতেছেন, তখন আমাদের কি সামান্য গৌরব ? কিন্তু হায়, আমরা কি মহৎ পদার্থ, তাহা আমরা ভ্ৰমেও একবার চিন্তা করি না । আমরা সংসায়ের অধ্যম বিষয়েই সত্যত নিমগ্ন, আমরা আমাদের নিজ মহত্ত্ব একবারে তুলিয়া গিয়াছি। তুলিয়া গিয়া এমনি নীচ হুইয়া পডিয়াছি যে এই প্ৰমরণশীল সৎসারই আমাদের সর্বস্ব হইয়াছে । আমাদের অন্তরে অমূল্য ধনের খনি রহিয়াছে, তাহা হইতে আমরা অশেষ ঐশ্বৰ্য্য লাভ করিতে পারি, কিন্তু সে বিষয়ে আমাদের মনোযোগ নাই, আমরা পৃথিবীর বাহু খনি হইতে ধন উত্তোলনা করিয়া কিসে ধনী হইব, এই লইয়াই ব্যন্ত । তাহার জন্য আমরা কত পরিশ্রম, কত যত্ন, কত অধ্যবসায় ও কত কষ্ট স্বীকার