পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

في موا لا ] থাকিবে-তাহাদিগকে আধ্যাত্মিক দাসত্বশৃঙ্খলে বন্ধ রাখিবমনের স্বাধীনতা হরণ করিয়া তাহাদিগকে আমার একান্ত বশবৰ্ত্তী করিব, লোভ ধাৰ্ম্মিকের মনে এই সকল লালসার উদ্রেক করে। ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তি এই প্রকার লোভে আক্রান্ত হইয়া আপনার ও অন্যের মঙ্গলের পথে কণ্টক রোপণ করেন । এবপ্রকারে লোভ সমান-ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের মধ্যে পরস্পর অনৈক্য ও অপ্ৰণয় সঞ্চার করিয়া প্রচুর অনিষ্ট সম্পাদন করে । ধৰ্ম্মবেশধারী লোভ একবার প্রবল হইলে কোথায় গিয়া তাহার শেষ দাঁড়ায় ইহার কিছুই নির্ণয় করা যায় না ; এমন কি পুৱাবৃত্তে এরূপ অনেক দৃষ্টান্ত প্ৰাপ্ত হওয়া যায় যে কোন কোন ধৰ্ম্ম-প্ৰবৰ্ত্তক অথবা ধৰ্ম্মসংস্কারক এই লোভ দ্বারা আক্রান্ত হইয়া ঈশ্বরের স্বরূপ বলিয়া লোকের নিকট আপনাকে পরিাচয় দিতে প্রলোভিত হইয়াছিলেন । মোহও ধৰ্ম্মরাজ্যে প্ৰবেশ করে ; মোহ ধৰ্ম্মবেশ ধারণ করিয়া আমাদিগের চিত্তকে আক্রমণ করে । আমরা মোহে আচ্ছন্ন হইয়া ধৰ্ম্মামোদই ধৰ্ম্মসাধন বলিয়া মনে করি । এই রূপ মোহের বশবৰ্ত্তী হইয়া সামাজিক উপাসনা, উৎসব, বক্তৃতা, ধৰ্ম্মমতের কথা, ধাৰ্মিক ব্যক্তির কথা, ও ধৰ্ম্ম প্রচারের কথা এই সকল ধৰ্ম্ম সাধনের সহকারী না মনে করিয়া এপ্রকৃত ধৰ্ম্ম সাধন মনে করি ও নিজ নিজ আত্মার পরিত্ৰাণ কাৰ্য্য কত দূর সম্পাদিত হইল তােহা লক্ষ্য করি না। এই রূপে ধৰ্ম্ম সংক্রান্ত ব্যাপারের মধ্যে অবস্থিতি করিয়াও আমরা ধৰ্ম্ম হইতে দূরে থাকি । মদও ধৰ্ম্মবেশ ধারণ করিয়া আমাদিগের আত্মাকে আক্রমণ