পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 দিগকে দীন ভাবে মুহ্যমান হইতে হইবে-হয়তো বিনষ্ট হইতে হইবে। যদি সাংসারিক বিপদ হইতে আমরা ধৰ্ম্ম-দুগে না লই। তবে আমাদিগের আর উপায় নাই। ধৰ্ম্ম-দুর্গে আশ্রয় লওয়া সাংসারিক বিপদ অতিক্রম করার একমাত্ৰ উপায় । সে দুৰ্গ আমরা যদি রক্ষা করি তবে সে আমাদিগকে নিশ্চয় রক্ষা করিবে, আর সে দুর্গের রক্ষা কাৰ্য্যে অবহেলা করিয়া যদি তাহা বিনষ্ট হইতে দিই। তবে নিশ্চয়ই আমাদিগকে বিনষ্ট হইতে হইবে । ‘ধৰ্ম্ম এব হতে হান্তি ধৰ্ম্মে রক্ষতি রক্ষিতঃ ” আমার আত্মা যেমন আমার বন্ধুর আত্মাকে উপভোগ করে তেমনি তাহা পরমাত্মাকে উপভোগ করে। আত্ম-উপভোগই জগতে প্ৰকৃত ভোগ ; বাহবিষয়-ভোগ ভোগ নাহে । যদি কোন ব্যক্তির প্রতি আমার প্রীতি না থাকে। আর তাহার সহিত আমি একত্ৰ ভোজন করি। তবে সে ভোজনে আমি কি সুখ প্রাপ্ত হইতে পারি ? বন্ধুর মুখশ্ৰী দ্বারা আমরা আকৃষ্ট হই না ; তাহার আত্মার যে সৌন্দৰ্য্য তঁহার মুখশ্ৰীতে প্ৰতিবিম্বিত হয় তাহা দ্বারা আমরা আকৃষ্ট হই । বন্ধু আকৃতিতে অতি কুৎসিত ব্যক্তি হইতে পারেন। কিন্তু এক জন সুন্দর ব্যক্তি অপেক্ষা তঁহার প্রতি আমরা অধিক অনুরক্ত হইতে পারি, অতএব প্ৰতীত হইতেছে যে বাহ্য বিষয় উপভোগ অপেক্ষা আত্ম-উপভোগই প্রকৃত ভোগ। যখন আমরা সামান্য আত্ম-উপভোগে এত সুখ প্রাপ্ত হই তখন সেই পরমাত্মা উপভোগে আমরা কত সুখ না প্ৰাপ্ত হইব ? যখন আমরা সম্মুখস্থ বন্ধুর ন্যায় আঁহাকে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ করি, যখন তঁহার নয়ন আমাদিগের নয়নের উপর নিপতিত হয়, যখন আমরা মনের দ্বার উদঘাটিত করিয়া