পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদি ব্ৰাহ্মসমাজ । ২৬শে আশ্বিন । ১৭৮৭ শক । ভ্ৰাতৃগণ ! তোমরা কি শ্রবণ করিতেছি না, ধৰ্ম্ম তোমাদিগকে সুমধুর স্বরে কি বলিয়া আহ্বান করিতেছেন ? ধৰ্ম্ম এই কথা বলিতেছেন,-মনুষ্যগণ ! তোমরা অমৃতনিকেতনের যাত্রী হইয়া অমৃতনিকেতনে গমন কর। তাহার মধুর আহবান শ্রবণ করিয়া আমরা কিরূপে স্থির থাকিতে পারি ? এস, আমরা ঈশ্বরে নির্ভর রূপ দণ্ড, ঈশ্বরের মঙ্গলস্বরূপে বিশ্বাস-রূপ ছত্র ও ব্ৰহ্মপ্রীতিরূপ সম্বল লইয়া অমৃতনিকেতনে যাত্ৰা করি । সেই পরম তীর্থের যাত্রী হইলে এই সকল গুণ ধারণ করিতে হয় । প্রথমতঃ ঈশ্বরগভপ্ৰাণ হওয়া উচিত। দ্বিতীয়তঃ পথের পদার্থের প্রতি অত্যন্ত আসক্ত না হওয়া কৰ্ত্তব্য । তৃতীয়তঃ পথভ্ৰমণকালে আমাদিগের সর্বদা অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত। চতুর্থতঃ পৰ্থভ্ৰমণসময়ে ধৈর্যশীল হওয়া কৰ্ত্তব্য । প্রথমতঃ ঈশ্বরগািতপ্ৰাণ হওয়া আমাদিগের কর্তব্য । আমি দেখিয়াছি, সামান্য তীর্থ-যাত্রীরা প্ৰতি পাদ-নিক্ষেপে তাহদিগের উপাস্য দেবতাকে স্মরণ করিয়া প্ৰণিপাত করে । আমরা সেই পরম-তীর্থ-যাত্রী হইয়া অন্তরে সেই দেবদেবকে প্ৰতি কাৰ্যে কি প্ৰণাম করিব না ? তিনি সেই তীর্থের একমাত্র দেবতা । তিনি আমাদিগের শেষ গতি । তিনিই আমাদিগের