পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেদিনীপুর-ব্রাহ্মসমাজ । --- Yo OC-(- - - - - কাৰ্ত্তিক । ১৭৮৭ শক । “যসৈাষমহিমা ভূবি দিব্যে।” ঈশ্বরের মহিমা এই ভুলোকে ও দুলোকে দেদীপ্যমান রহিয়াছে। সকল দেশে সকল কালে তঁহার আশ্চৰ্য্য মহিমা বিদ্যমান । কে বা সে মহিমার ইয়াত্তা করিতে পারে কু আদ্যাপি কেহই তেঁাহার মহিমা আলোচনা করিয়া শেষ করিতে পারে নাই এবং ভবিষ্যতেও যে কেহ তাহার শেষ করিতে পরিবে তাহার সম্ভাবনা নাই । তঁহার মহিমা সকল পদার্থে দেদীপ্যমান রহিয়াছে। তাহার মহিমা যেমন প্ৰকাণ্ডকায় মাতঙ্গ-শরীরে প্রকাশমান তেমনি এক ক্ষুদ্র কীটোতেও বর্তমান । গগনমণ্ডলে সুৰ্য্য চন্দ্ৰ ও অসংখ্য গ্ৰহ নক্ষত্র যেমন তঁহর মহিমা ঘোষণা করে তেমনি এক ক্ষুদ্র শিশিরবিন্দু ও সুকোমল কুসুমদামও তঁহার মহিমা পরিব্যক্ত করে । সকল বস্তু ও সকল স্থান তঁহার ক্রুতিরবে পরিপূর্ণ। ধাতুরাজ্য, উদ্ভিজ্জরাজ্য, পশুরাজ্য, ক্ষুদ্র-জগৎ মনুষ্য, দু'লো- কের উজ্বল ঐশ্বৰ্য্য, ঈশ্বরের মহিমা অহনিশ উচ্চৈঃস্বরে ঘোষণা করিতেছে । আমাদের কৰ্ত্তব্য যে, আমরা যখন যে বিদ্যা শিক্ষা করি সেই বিদ্যার মধ্যে ঈশ্বরের মহিমা অবগত হই, যেহেতু সকল বিদ্যাই ঈশ্বরের মহিমা পরিব্যক্ত করে। সকল