পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R ] বিদ্যার প্রকৃত উদ্দেশ্য এই যে আমরা তদ্বারা ঈশ্বরের মহিমা অবগত হইব। যদি ঈশ্বরের মহিমা না জানা যায় তাহা হইলে সকল বিদ্যা অর্থশূন্য ও বৃথা হইয়া পড়ে। সকল বিদ্যার চরম লক্ষ্য তিনি। বিদ্যা দ্বারা যাহা কিছু প্ৰতিপন্ন হয়, তাহা যদি তাহার সৃষ্টিকৰ্ত্তাকে স্মরণ না করিয়া দেয়, তাহা হইলে সে বিদ্যা শিক্ষা করা বিফল । আর যদ্যপি প্ৰত্যেক বিদ্যা প্ৰতিক্ষণে সেই ঈশ্বরকে স্মরণ করাইয়া দেয়, তাহা হইলে সেই বিদ্যা শিক্ষা সময়েই ঈশ্বরের উপাসনা হয় ও সে বিদ্যার আলোচনা সার্থক হয়। এক জন বিখ্যাত চিকিৎসক এই কথা বলিয়াগিয়াছেন, চিকিৎসা বিদ্যা শিক্ষা কালে শবচ্ছেদ সময়ে ঈশ্বরকে স্মরণ হইলে প্ৰত্যেক শবচ্ছেদই ঈশ্বরের স্তব স্বরূপ হইয়া দাঁড়ায় । বস্তুতঃ সকল বিদ্যাতেই ঈশ্বরের মহিমা গান অন্তভুত আছে। এক এক বার আমার এইরূপ মনে হয় যেন সকল বিদ্যা একত্রিত হইয়া কৃতাঞ্জলিপুটে ঈশ্বরের স্তব করিতেছে। প্রাণিবিদ্যা এই প্রকারে কৃতাঞ্জলিপুটে ঈশ্বরের স্তব করিতেছে —‘‘জয় জয় জগদীশ ! তোমার মহিমা কে ব্যক্তি করিয়া শেষ করিতে পাৱে ? কত প্ৰকার পশু পক্ষী কীট পতঙ্গাদি জীবজন্তু তোমার এই বিশ্ব রাজ্যে লালিত পালিত হইতেছে তাহ নিৰুপণ করা কাহার সাধ্য ? পশুরাজ মৃগেন্দ্ৰ, প্ৰকাণ্ডকায় মাতঙ্গ, ভীষণমূৰ্ত্তি সমুদ্র-কম্পনকারী তিমি, এবং অন্যান্য উগ্র ও শান্ত প্ৰকৃতি কত অসংখ্য জন্তু তোমার এই জগৎ মধ্যে বিচরণ করিতেছে । কত চিত্র বিচিত্ৰ বিহঙ্গ ও ক্ষুদ্র কীট পতঙ্গ কেমন স্বচ্ছন্দো ইতস্ততঃ গমন করিয়া তাহদের মনের আনন্দ ব্যক্ত করিতেছে । জগ