পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 দীশ ! কে তোমার সৃষ্ট প্ৰাণিপুঞ্জের ইয়ত্তা করিতে সমর্থ হয় ?” উদ্ভিদবিদ্যা কৃতাঞ্জলিপুটে এই প্রকারে ঈশ্বরের স্তব করিতেছে —‘‘জয় জয় জগদীশ ! তোমার মহিমা কি প্রকারে ব্যক্তি করিব ? উদ্ভিদরাজ্য ও প্রাণিরাজ্য মধ্যে কি আশ্চৰ্য সম্বন্ধ রহিয়াছে। অসংখ্য প্রকারে ঐ রূপ সম্বন্ধ এমনি নিবন্ধ আছে যে উদ্ভিদ না থাকিলে প্রাণিদিগের পুথিবীতে অবস্থিতি করা হইত না । কত প্ৰকার আশ্চৰ্য্য উদ্ভিদ তোমার আনিৰ্বাচনীয় মহিমা প্ৰকাশ করে, তাহা কে নির্ণয় করিতে সমর্থ হইবে ? এক গহনবৎ প্ৰতীয়মান এডেনসোনিয়া বৃক্ষ, কুজননিনাদিত বহুকুঞ্জনিকুঞ্জকারী বটবৃক্ষ, কুম্ভবৃক্ষ, পৰ্য্যাটিক মিত্ৰবৃক্ষ, রোটিকা বৃক্ষ, নবনীত বৃক্ষ তোমার আশ্চৰ্য্য মহিমা প্ৰকাশ করিতেছে । কত প্ৰকার উদ্ভিদে তোমার কত অদ্ভুত কীর্তি প্রকাশিত রহিয়াছে, কে তোমার মহিমা বর্ণনা করিয়া শেষ করিতে পারিবে ?” শরীরতত্ত্ব কৃতাঞ্জলি হইয়া এই রূপে ঈশ্বরের স্তব করিতেছে —‘‘জয় জয় জগদীশ ! তোমার সৃষ্ট জীবশরীর কি আশ্চর্স্য কৌশলময় ! এই মানব দেহে তুমি কত প্রকার কৌশল প্রকাশ করিয়াছ ! মনুষ্যের শরীরের রক্ত এক স্থান হইতে উদিত হইয়া সুক্ষম সুক্ষম শিরা দ্বারা কেমন আশ্চৰ্য রূপে সৰ্ব্ব শরীরে সঞ্চারিত হয় এবং শরীরস্থ দূষিত পদার্থের সহিত মিশ্রিত হইয়া কেমন চমৎকার নিয়মানুসারে আর এক স্থানে প্ৰত্যাগত ও শোধিত হইয়া পুনরায় পূর্বের মত কাৰ্য্য করিতে থাকে। কি আশ্চৰ্য্য নিয়মানুসারে মানুষ্যের পরিপাক ক্রিয়া নির্বাহিত হয় ! মনুষ্য যে সকল বস্তু আহার করে, সে সকলই এক স্থানে