পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8७ ] B B BDDS DBDDDB DgD uD BDB S DDBBBD DBBD বিদ্যার পর্য্যাপ্তি ও সকল বিদ্যার, শিরোভূষণ । “ব্রহ্মবিদ্যা সৰ্ব্ব বিদ্যা প্রতিষ্ঠা।” ব্ৰহ্ম বিদ্যা সকল বিদ্যার প্ৰতিষ্ঠা ৷ যেমন নদী সকল চারি দিক হইতে প্ৰবাহিত হইয়া এক সাগরে গিয়া মিলিত হয়, সেই রূপ সকল বিদ্যা পরিশেষে * এক ব্ৰহ্মবিদ্যাতে গিয়া পৰ্যাপ্ত হয় । আমাদের কৰ্ত্তব্য যে আমরা বিদ্যালোচনার সময়ে ঈশ্বরকে স্মরণ করি । তিনিই এই সুকৌশলময় বিশ্ব রাজ্যের রচয়িতা । আমরা সৃষ্টির তত্ত্ব যাহা কিছু অবগত হই, সে সকলি তঁহারই অনুপম কীৰ্ত্তি । সৃষ্টির সকল বস্তু সৃজনকৰ্ত্তার গুণ গান করিতে ক্ৰটি করে না ; তাহারা জিহুৱাহীন হইয়াও নিজ নিজ রচয়িতার মহিমা নিরন্তর ঘোষণা করিতেছে । তবে আমরা কেন তঁহাকে বিস্মৃত হই? আমরা কেন অকৃতজ্ঞ ও অধম হইয়া থাকি ? যিনি আমাদিগকে জ্ঞান দিয়াছেন, বুদ্ধি দিয়াছেন এবং কত প্ৰকার উৎকৃষ্ট প্ৰবৃত্তি দিয়া অন্যান্য জীবদিগের হইতে আমাদিগকে শ্রেষ্ঠ করিয়া দিয়াছেন, এস, আমরা তঁহার যশঃ উচ্চৈঃস্বরে অহৰ্নিশ ঘোষণা করি এবং তঁহার প্রদত্ত আধ্যাত্মিক সুধা পান করিয়ণ জীবনকে সার্থক করি । হে পরমাত্মন! তুমি আমাদের সকল জ্ঞানের ও সকল বিদ্যার মুল । তুমি যেমন আমাদের জ্ঞানদাতা ও বুদ্ধিদাতা, তেমনি তুমিই আবার আমাদের জ্ঞানের বিষয় ও সকল বিদ্যার প্রতিষ্ঠাভূমি । তোমাকে জানিলে আমাদের আর সকল জ্ঞান সার্থক হয় এবং তোমাকে জানিলেই আমাদের আর সকল জ্ঞান লাভ হয় । তোমার মহিমা এই দুৰ্য্যলোক ও ভুলোকে জাজ্বল্য