পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(& R. পুষ্প প্ৰদান করিয়া জন্ম সার্থক করি । তিনি পতিতপাবন ও দীনবন্ধু। তিনি “জগন্নাথ জগদীশ জগৎগুৰু জগজ্জনহিত-কারণ ” ব্যাকুল হৃদয়ে তাহাকে ডাকিলে তিনি আমাদিগের আৰ্ত্তিনাদ শ্রবণ করেন, অনুতাপিত চিত্তে ভঁাহার শরণাপন্ন হইলে তিনি আমাদিগকে পাপ হইতে মুক্ত করেন, বিমল হৃদয়ে ভক্তিরসাদ্র চিত্তে ভঁাহাঁর ভজনা করিলে তিনি আমাদেৱ মনে আনন্দ-সুধা বর্ষণ করেন। সংসারের ধূলি যখন আমাদিগের মনে পতিত হয়, বিষাদ-ঘন দ্বারা যখন মন আন্ধীভুত হয়, দুঃখভারপ্ৰপীড়িত চিত্ত যখন ব্যাকুল হইয়া আশ্রয়ের জন্য চতুর্দিকে অন্বেষণ করে, তখন তঁহার আশ্রয় লাভ করিয়া আমরা শীতল হই । একবার নেত্ৰ উন্মীলন করিয়া দেখ, সেই কৰুণাসিন্ধু পরম বন্ধু, আমাদিগকে কত কৰুণা বিতরণ করিতেছেন । তঁহারই আজ্ঞাতে সুৰ্য প্ৰত্যহ গগনমণ্ডলে উদিত হইয়া আমাদিগকে তাপ ও আলোক প্ৰদান করিতেছে ; তঁহারই আদেশে বায়ু অহরহঃ আমাদিগের ব্যজন সঞ্চালনের কাৰ্য্য সম্পাদনা করিতেছে ; তঁহারই আদেশানুসারে মেঘ অপৰ্যাপ্ত পরম তৃপ্তিকর পানীয় বিতরণ করিতেছে ; তঁহারই বিধানানুসারে পূর্ণচন্দ্র স্বীয় মনোহর অমৃততরঙ্গিণী দ্বারা জগৎকে সুধাময় করিতেছে। তঁহারই অনুজ্ঞাধীন পুষ্প সকল বিকশিত হইয়া নিজ নিজ মনোহর সুগন্ধ প্ৰদান দ্বারা চিত্তকে হরণ করিতেছে । অতি শোভন রমণীয় শিল্প কাৰ্য সকল মনুষ্যের প্রতি তঁহারই দ্বারা প্রদত্ত শিম্প নৈপুণ্য হইতেই সমূদ্ভত হইতেছে। সাধুবর্গের অরুত্রিম স্নেহ, স্ত্রীর প্রগাঢ় প্রণয়, পুত্রের অবিচলিত ভক্তি, তঁহি