পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( (td ও সকল ঘটনার উপর সর্বজ্ঞ পুৰুষের একটি সাধারণ নিয়স্তত্ব আছে কেবল ইহা বিশ্বাস করিয়া তঁহারা সন্তুষ্ট হয়েন না ; প্রত্যেক ক্ষুদ্র ঘটনা পৰ্যন্ত তঁহার ইচ্ছা বশতঃ হইয়া থাকে, যাহার অসীম শক্তি সম্বন্ধে কিছুই বৃহৎ নহে, যাহার সর্বদৃক চক্ষু সম্বন্ধে কিছুই ক্ষুদ্র নহে, এমত বিশ্বাস করা তঁহাদিগের স্বভাব সিদ্ধ হইয়া যায় । ঈশ্বরকে জানা, ঈশ্বরের আজ্ঞাবহ থাকা, ঈশ্বরকে উপভোগ করা তাহাদিগের জীবনের একমাত্ৰ কাৰ্য । অন্য অন্য ধৰ্ম্ম সম্প্রদায় আধ্যাত্মিক উপসনার স্থানে যে সকল অসার অলীক ক্রিয়া কলাপ রূপ বাহি্যু অনুষ্ঠান স্থাপন করে সে সকল অলীক ক্রিয়া ভঁাহারা अऊाख তুচ্ছ করেন। সাধারণ লোকে ঈশ্বরকে যেমন বিদ্যুতের ন্যায়। এক এক বার দেখিতে পান, তাহারা সেরূপ এক একবার দেখেন না, তাহার সর্বদাই সেই জ্যোতির জ্যোতিকে স্পষ্টরূপে দেখেন ও সম্মুখস্থ বন্ধুর ন্যায় তাহার সাহিত সহবাস ও আলাপ করেন । এই জন্য পার্থিব সম্মানের প্রতি তাহাদিগের তাচ্ছিল্য জন্মে। তাঁহার প্রসাদ ব্যতীত তঁহারা প্ৰাধান্যের অন্য কোন হেতু স্বীকার করেন না । তঁহার প্রসাদ লাভ করিয়া তাহারা পার্থিব পদ ও গুণ সকল তুচ্ছ করেন । যদি তাহারা দার্শনিকদিগের ও কবিদিগের গ্ৰন্থ অবিজ্ঞাত থাকেন। তাহাতে কি ? সাধুদিগের প্রবচন তো তাহাদিগের বিলক্ষণ হৃদগম আছে। যদ্যপি ভট্টদিগের গ্রন্থে তঁহাদিগের নাম না থাকে তাহাতেই বা কি ? ভক্তাদিগের নামের মধ্যে তো তাহদিগের নাম আছে। যদ্যপি দাস দাসী দ্বারা তঁহারা পরিবৃত না থাকেন তাহাতেই বা কি ? শান্তি ও আনন্দ ও আত্মপ্ৰসাদ