পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. No হইয়াছিল । অতএব তঁাহারা আপনাদিগকেই কখনই দীন মনে করেন না। তঁহারা সুদীনাত্মা হইয়া সংসার মধ্যে বিচরণ করেন। যখন এবহুপ্রকার ধাৰ্ম্মিক পুৰুষেরা ঈশ্বরের উপাসনা কাৰ্য্য করেন, তখন তঁহাদিগের অশ্রুপাত রোম-হার্ষণ প্রভৃতি ভক্তির অসাধারণ লক্ষণ সকল দৃষ্ট হয় । তঁহারা যদ্যপি মোহবশতঃ কোন একটি ক্ষুদ্র কুকৰ্ম্ম করেন তাহা হইলেও তাহাদিগের মানসিক যাতনার আর সীমা থাকে না । প্ৰবল বাত্যার সময় সমুদ্র কি আন্দোলিত হয় ? তঁহাদিগের মন তখন এমনি উদ্বেল হইয়া উঠে । তাহারা তখন বিষাদপাঙ্কে পতিত হইয়া এই আৰ্ত্তনাদ করেন যে, “প্রিয়তম বন্ধু তাঁহার মুখ আমার নিকট হইতে লুক্কায়িত রাখিয়াছেন। যখন তাঁহার প্ৰসাদ আমি হারাইয়াছি তখন আমার কি রহিল ? “হারায়ে জীবন শরণে জীবনে কি কাজ আমার ।” তাহারা অনুতাপের সময় মনের এপ্রকার উদ্বেলতা প্ৰকাশ করেন। কিন্তু সাংসারিক কাৰ্য সম্পাদন সময়ে তাহারা সম্পূর্ণরূপে স্থিরাধী। ঐ কাৰ্য্য সম্পাদন সময়ে এপ্রকার মনের স্থিরতা তাহাদিগের ধৰ্ম্মোৎসাহ হইতেই উৎপন্ন হয় । মনের এই ভাবটী সৰ্বোপরি প্রবল হইয়া অন্যভাব সকলকে গ্ৰাস করিয়া ফেলে। ভঁহাদের রাগ, দ্বেয়, লোভ, ভয়, সকলই তঁহাদের ধর্মোৎসাহের অধীন। মৃত্যু তঁহাদিগের নিকট ভয়ানক নহে, আমোদ ভঁহাদিগের নিকট মনোহর নহে। ধৰ্ম্মোৎসাহ ভঁহাদের হৃদয় হইতে অধম প্রবৃত্তি এবং পক্ষপাত দূরীকৃত করে এবং তাঁহাদের চিত্তকে বিপদ ও প্রলোভনের পরাক্রমের অতীত করে । তঁহাৱা পৃথিবীতে লৌহদণ্ডের ন্যায় গমন করেন। মানুষ্যের সঙ্গে