পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৭৭

शङ्खन्न »१b•२ *| । . . - محس۔--سیہ --- سس ۔ -هـ-س-- আদ্যকার উৎসব দিবসে মনোমন্দিরের দ্বার उंत्रांप्रेन করিয়া তন্মধ্যে প্রফুল্লতার হিল্লোলকে একবার স্বাধীন-রূপে সঞ্চারণ করিতে দেও ! সাংসারিক ভাবনা ভাবিতে গেলে তাহার অন্ত পাওয়া যায় না—একবার সাংসারিক ভাবনা দূর করিয়া প্রফুল্ল হও । দিবস তোমাদিগকে প্রফুল্ল হইতে বলিতেছে, ঋতু তোমাদিগকে প্রফুল্ল হইতে বলিতেছে, স্থান তোমাদিগকে প্রফুল্ল হইতে বলিতেছে, প্রকৃতি চতুর্দিকে মনেহর বেশ ধারণ করিয়া প্রফুল্ল হইতে বলিতেছে। যদি প্রফুল্প না হও, তবে দিবসের প্রতি, ঋতুর প্রতি, স্থানের প্রতি, প্রকৃতির প্রতি অশিষ্টাচার হইবে। প্ৰফুল্ল হইতে তোমাদিগকে এতই বা অনুরোধ করিতেছি কেন ? বসন্তসমীরণের এমনি গুণ, নবপল্লবিত ও মুকুলিত বন ও উপবনের এমনি শক্তি, বিহঙ্গ-কুজিত সুশব্দের এমনি ক্ষমতা,ঈশ্বর স্মরণের এমনি চমৎকার প্রভাব, যে তোমারা প্ৰফুল্ল না হইয়া কখনই থাকিতে পরিবে না । ঈশ্বর আমাদিগকে কত সহজেই আনন্দিত করেন। একটু স্থানের পরিবর্তনে, একটু কালের পরির্তনে, তিনি আমাদিগকে কত আনন্দই প্ৰদান করেন । নিকট-স্থিত নগর হইতে আমরা এখানে আসিয়া কত আনন্দই উপভোগ করিতেছি । প্রতি বৎসর শীত না যাইতে যাইতে বসন্তসমীরণ হঠাৎ প্রবাহিত হইয়া জীব-শরীর এতদ্রুপ প্ৰফুল্প করে যে পুত্ৰশোকে অভিভূত ব্যক্তিও পুলকিত না হইয়া, ()