পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 মান উত্তর প্রদান করে “তোমাকে উচ্চ পদে উত্থাপিত করিতে পারি, সকলেই, তোমাকে সম্মান, করিবে, সকলেই তোমার পদানত হইবে, কিন্তু তৃপ্তি দিতে পারি না।” যশের দ্বারে উপনীত হই, যশ উত্তর প্রদান করে “আমি এমন করিতে পারি। যে তোমার খ্যাতিতে সমস্ত মেদিনী পূর্ণ হইবে, তোমার নাম সমস্ত পৃথিবীতে নিনাদিত হইবে, কিন্তু তৃপ্তি প্রদানে সমর্থ নাহি ।” এই রূপে আমরা দ্বারে দ্বারে তৃপ্তির জন্য প্রকৃত সুখের জন্য ভ্ৰমণ করি, কোথাও তৃপ্তি-ফল প্ৰাপ্ত হই না । আমরা তৃপ্তি লাভের জন্য অন্যের দ্বারে ভ্ৰমণ করি, কিন্তু যিনি প্ৰকৃত সুখ, প্ৰদান করিতে পারেন, তিনি হৃদয়ঘারে আপনি হইতে আসিয়া সুমধুর স্বরে তথায় প্রবেশ প্রার্থনা করিতেছেন, আমাদের পাষাণ-হৃদয়ের দ্বার উদঘাটিত হয় না । কৰুণাময়ী মাতা অমৃতপাত্ৰ হস্তে লইয়া বলিতেছেন, “বৎস! পাপ-বিষ তোমাকে জর্জরিত করিয়াছে, আমি তোমার জন্য অমৃত-পূর্ণ পাত্ৰ আনিয়াছি, দ্বার উদঘাটন কর, আমি প্রবেশ করিয়া তোমাকে সেই পাত্র প্রদান করিব।” আমরা তঁহার বাক্য শ্ৰবণ করিয়াও শ্রবণ করি না । পাপ উৰ্তাহাকে হৃদয় দ্বার হইতে দূর করিয়া দেয় । আঁহা! কি প্রকারে এই দুর্গতির অপনোদন হইবে ? হে পরমাত্মন্য! কি দুঃখের বিষয়! অমৃতসাগরে বেষ্টিত আছি, অথচ অমৃত পান করিতে সমর্থ হইতেছি না। এ কি বিড়ম্বন ! তুমি ভিন্ন কে এই বিড়ম্বন হইতে মুক্ত করিবে ? তুমি প্ৰসন্ন বদনে দৃষ্টি করিলে তোমার অমৃত-স্বরূপ পরিজ্ঞাত হইতে সমর্থ হইব, নিত্য পূর্ণানন্দ উপভোগে সক্ষম হইব । হৃদয়ধন । হৃদয়ে প্ৰবেশ কর, হৃদয়ে