পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাস্থান ১৭৮৩ শক । r- - -r*rims* r tam - আমরা প্ৰতিবৎসর বসন্তকালে এই সুরম্য স্থানে ব্রহ্মোপাসনা করিয়া কি পৰ্যন্ত না প্ৰীত হই! বসন্ত অতি মনোহর কাল । বসন্ত কালে ঈশ্বরের প্ৰেমময় ভােব চতুর্দিকে সঞ্চরণ করে ; বসন্ত কালে ঈশ্বরের প্ৰেমমুখ আমরা বাহা জগতে আরো স্পষ্ট দেখিতে পাই । যে ব্যক্তি বসন্ত কালে কোকিলরব শ্রবণ করিয়াছে সে কখনই এমত বিশ্বাস করিতে পারে না। যু আমাদিগের ঈশ্বর কোন নিষ্ঠুর দৈত্য । চতুর্দিকস্থ বস্তু হৃদয়ে অপূর্ব রমণীয় ভােব সকলের উদ্রেক করিতেছে। নবজীবনপ্রাপ্ত পৃথিবী নবজীবনপ্রাপ্ত আত্মার কথা স্মরণ করিয়া দিতেছে, নব পল্লব ও কুসুম সকল সদ্যোজাগ্ৰাৎ ত নবেদিত ধৰ্ম্মভাবসকলের ন্যায় প্রতীয়মান হইতছে, বসন্তসমীরণ আত্মার নবজীবনোৎপন্ন আনন্দ-পবনের ন্যায় প্রবাহিত হইতেছে। আমরা এমন সুন্দর ঋতুতে ভ্ৰাতৃভাবে সম্মিলিত হইয়া সেই পরম পাতার উপাসনা করি।-- তেছি। ইহা অপেক্ষা আর সৌভাগ্যের বিষয় কি আছে ? তিনিই আমাদিগের মনে সেই ভ্ৰাতৃভাব প্রেরণ করিতেছেন । তিনিই বন্ধুতার অষ্টা, প্রীতি-রসের জনয়িতা ও আনন্দের প্রস্রবণ । তিনি আমাদিগের পরম সুহৃৎ, তিনি আমাদি গের চিরজীবন সখা । সে অমূল্য নিধি যিনি প্ৰাপ্ত হইয়াছেন তিনি সংসারের অন্য কোন বস্তু প্রার্থনা করেন না ; তিনি তঁহার প্রীতিসুধা পানে সর্বদা নিমগ্ন থাকেন। পূৰ্ব