পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ११ } কালীন ঋষিরা নিস্তরঙ্গ অতি গম্ভীর সুধাৰ্ণবে অবগাহন করিয়া তৃপ্ত হইয়াছিলেন , এস আমরা সকলে সেই সুধার্ণবে গাত্ৰ ঢালিয়া দিই—অদ্যকার উৎসব দিবস সার্থক করি । এই ধৰ্ম্মোৎসব যেন নিরন্তর আমাদিগের মনে বিরাজ করে ; ঈশ্বরানুগ্রহে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মরূপ যে পরম পবিত্ৰ মহৎ ধৰ্ম্ম এই ভাগ্যবান বঙ্গ ভূমিতে অবতীর্ণ হইয়াছেন, তঁহার প্রসাদাৎ সকল দিবসই আমাদিগের উৎসবের দিবস। আমাদিগের উৎসবের এখন কি হইয়াছে ? আমরা যত উৎকৃষ্ট লোক হইতে উৎক্লষ্টতর লোকে উত্থিত হইব, ততই আমাদিগের উৎসব বৰ্দ্ধিত হইবে । সে উৎসবের গম্ভীরতা ও মাধুর্যের সহিত তুলনা করিলে সাগরের গম্ভীরতা ও সঙ্গীতের মাধুৰ্য্য কোথায়? সেই মুখচ্ছবি যদি আমাদিগের মনশ্চক্ষুদ সম্মুখে এখনই প্রতিভাত হয়, তবে ক্ষুদ্র সঙ্কীর্ণ নদী হইতে নুতন সমুদ্রে সমাগত নাবিকের ন্যায় আমাদিগের আশ্চৰ্য ভাব সমুদ্ভুত হইবে। যাহাতে আমরা সেই পরম প্ৰাৰ্থনীয় অবস্থা প্ৰাপ্ত হইতে পারি, তাহার উপায় আমাদিগের অবলম্বন করা উচিত । যেমন অদ্য আমরা এই গোপ গিরির নিকট স্থিত সুনিৰ্ম্মল স্রোতঃস্বতীতে অবগাহন করিয়া আমাদিগের গাত্ৰ শুদ্ধ করিয়াছি, তেমনি মনের শুদ্ধতা সম্পাদনাৰ্থে আমরা যেন যত্নবান হই, তাহা হইলেই আমরা সেই অমৃতধ্যামের উপযুক্ত হইব । ও একমেবাদ্বিতীয়ম্। -Air