পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুন ১৭৮৪ শক । محمج>- বৎসরের পরিবর্তন পুনর্বাের বসন্তের উৎসবের সময় আনয়ন করিয়াছে। পুনৰ্বার গোপগিরি মনোহর বসন্তবেই ধারণ করিয়াছে, পুনৰ্বার আমাদিগের পুরাতন সখা এই বৃক্ষ সকল নবপল্লবিত ও মুকুলিত হইয়া চিত্ত হরণ করিতেছে, পুনর্বাের বসন্ত সমীরণ এই স্থলে প্রবাহিত হইয়া শরীর মধ্যে অপূৰ্ব আহলাদরসের সঞ্চার করিতেছে। বাহা জগৎ শীতের সময় হীন দশা প্ৰাপ্ত হইয়া মৃত্যুবৎ হয় ; বসন্ত সমাগমে নব জীবন লাভ করে, নুতন রসে পূর্ণ হইয়া তেজস্বী হয়। বন ও উপবন সকলের ন্যায় মনুষ্যও হীন দশা প্ৰাপ্ত হয়। কিন্তু বন ও উপবন সম্বন্ধে যেমন বসন্তের উদয় হয় তেমনি মনুষ্যের আত্মা সম্বন্ধে কি বসন্তের উদয় হইবে না ? আমাদিগের আশেষ উন্নতির আশা কি চরিতার্থ হইবে না ? এই সকল মহৎ মনোবৃত্তি অনন্ত দেশে ও অনন্ত কালে সঞ্চরণ করিতে সমর্থ হইতেছে, সে সকল মনোবৃত্তি কি একেবারে বিনাশ প্রাপ্ত হইবে ? যে নিত্য পূর্ণ সুখের ইচ্ছ। আমাদিগের অষ্টা হৃদয়ে গাঢ় রূপে মুদ্রিত করিয়া দিয়াছেন তাহা কি কখনই সম্পূর্ণ হইবে না ? এমত আমরা কোন মতেই বিশ্বাস করিতে পারিব না । বসন্তু কালে বাহ্য জগৎ যেমন নব জীবন প্ৰাপ্ত হয় মনুষ্যও সেইরূপ মৃত্যুর পরে নব জীবন প্ৰাপ্ত হইবে। বসন্তু কালে যেমন প্রকৃতি নবতর কল্যাণতর রূপ ধারণ করে মনুষ্যও সেই রূপ নবতর কল্যাণতর অবস্থা প্ৰাপ্ত হইবে। সে অবস্থা